করোনাভাইরাস ও ফ্লুয়ের উপসর্গ অনেকটা একই রকম। ফ্লু প্রচণ্ড রকম ছোঁয়াচে, তবে ফ্লু মোকাবেলা করা তুলনামূলকভাবে সহজ। রান্নাঘরে থাকা কিছু ভেষজ উপাদান ব্যবহার করে খুব সহজেই ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যেতে পারে। এসব মশলা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতেও সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ টাইমস এর পাঠকদের জন্য এমন পাঁচটি মশলার গুণাগুণ সম্পর্কে তুলে ধরা হলো, যেগুলি ফ্লু থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
হলুদ
হলুদ কারকিউমিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এটি একটি অ্যান্টিভাইরাল উপাদান, যা ঠাণ্ডাসহ ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে খুব কার্যকর। কারক্যুমিন মানবশরীরে প্রদাহজনিত এনজাইমের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করে। হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস, এটি অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পন্ন, যা সংক্রমণকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।
জিরা
জিরা বীজ আয়রনের একটি ভালো উৎস। আয়রন এমন একটি খনিজ, যা হিমোগ্লোবিনের অবিচ্ছেদ্য উপাদান, এটি ফুসফুস থেকে পুরো শরীরের কোষে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে। শক্তি উৎপাদনসহ বিপাকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
গোল মরিচ
গোল মরিচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানে পূর্ণ এবং এটি মানবদেহের সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন-সি, যা প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং একটি দুর্দান্ত অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
লবঙ্গ
লবঙ্গ একটি জৈব কফনাশক, যা গলা ও খাদ্যনালী থেকে কফ আলগা করতে সহায়তা করে এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণ রোধে সহায়তা করে। যেকেউ বাইরে বেরোনোর সময় জিহ্বার নীচে একটি লবঙ্গ রাখতে পারেন এবং ধীরে ধীরে এটি চুষে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি লবঙ্গ-চা পান করতে পারেন, যা স্বাদে ও গন্ধে অনন্য।
ক্যারাম বীজ বা আজওয়াইন
আজওয়াইন ঠাণ্ডা বা ফ্লু’য়ের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে। এটি ফ্লু’য়ের সঙ্গে সম্পর্কিত শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা মোকাবেলায় কার্যকরভাবে সহায়তা করে। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
টাইমস/এনজে