জেনে নিন, শুয়ে বই পড়ার স্বাস্থ্যঝুঁকি

বই হলো- জ্ঞানের আধার। শুধু তাই নয়; বই মানেই জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার রূপকথা। একটি ভালো বই মানুষকে বিমল আনন্দ দান করে এবং মানুষের মনে যোগায় অফুরন্ত প্রেরণা ও উৎসাহ। তাই বলা যায়- বই পড়ার আনন্দটা অতুলনীয়। এই আনন্দ কখনও ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এ অনুভূতি শুধু বই পড়ার অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা সম্ভব, অন্যথায় নয়।

তাইতো দেখা যায়- বইপোকারা বই পেলেই হয়, কপাকপ গিলবেই। অনেকেই উপুড় হয়ে, শুয়ে, কাত হয়ে বই পড়েন। দেরি না করে এখন থেকেই ঝেড়ে ফেলুন এই অভ্যাস, নইলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ। এসব অভ্যাসের কারণে বাঁধিয়ে ফেলতে পারেন মেরুদণ্ড আর ঘাড়ের ব্যথা, বন্ধ হয়ে যেতে পারে রক্ত চলাচল, আর পায়ে ধরতে পারে ঝিঁঝিঁ। তখন মনে হবে বই পড়াটা খুব বিরক্তিকর।

শিরদাঁড়া টান টান করে বসে বই পড়ার কথা বলা হলেও শুনেন না অনেকেই। এনিয়ে অনেক সময় অভিভাবকও কড়া হন না। ফলে শুয়ে শুয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে যায় খুদে পড়ুয়াদেরও।

বহু বইপ্রেমীর অভ্যাস ট্রেনে-বাসে শুয়ে-বসে বই পড়ার। এতে করে সব সময় যে বইয়ের থেকে চোখের দূরত্ব সমান থাকে, তা নয়। এমনকি সঠিক অ্যাঙ্গেল বজায় রেখেও যে পড়া হয়, তাও নয়।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ম না মেনে বই পড়লে বিপদ। ক্ষতি হতে পারে চোখের। চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসার সম্ভাবনা থাকে। চোখের অংশে কমে যেতে পারে রক্ত চলাচল। অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার শিকার হতে পারেন। চোখের অশ্রুগ্রন্থির পানি শুকিয়ে যেতে পারে। চোখের পেশির কাজে বাধা তৈরি হয়।

ফলে, প্রভাব ফেলে মাথার পেশিতেও। কমে যেতে পারে ঘুমের পরিমাণ। এতে করে দিন দিন উদ্বিগ্নতা, অস্থিরতা বাড়তে থাকে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: