ঘর করোনামুক্ত রাখতে করণীয়

চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। দ্রুত বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। বিশ্বে সব মিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মারা গেছেন অর্ধ লাখেরও বেশি। ফলে, প্রাণঘাতী ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগ মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, কারফিউ বা জরুরি অবস্থা।

এতে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন বিশ্বের তিন ভাগের বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে নিজ ও নিজের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে যেন করোনা না ছড়ায় সে দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। সেজন্য, আগে নিজের ঘর করোনা মুক্ত রাখতে হবে। নিউ দিল্লির ফোর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট’য়ের পরিচালক ও ‘নিউরোলজি’ বিভাগের প্রধান পারভিন গুপ্তা জানাচ্ছেন ঘর সুরক্ষিত রাখার কিছু উপায়। সেগুলো হলো-

  • ঘরের প্রতিটি অংশ নিয়মিত সাবান কিংবা অন্যান্য জীবানুনাশক উপাদান দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে, প্রতিবার রান্নার পর রান্নাঘর পরিষ্কার করতে হবে। ঘর ও বাইরে পরার জুতা আলাদা হতে হবে এবং বাইরে পরা জুতা ঘরে নেয়া যাবে না।
  • লাইটের সুইচ, টেবিল, কম্পিউটারের কিবোর্ড, দরজার হাতল, শৌচাগার, আলরামি, ওয়্যারড্রব ইত্যাদি নিয়ম করে পরিষ্কার করতে হবে। এই পরিষ্কার করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে এবং কাজ শেষে গ্লাভসগুলো বিশেষ ঢাকনাসহ ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
  • বাইরে থেকে সদাই কিনে আনার পর ব্যাগটি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তৎক্ষণাত পরিষ্কার করা সম্ভব না হলে প্রয়োজনে ব্যাগটি ঘরের বাইরে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত ফেলে রাখুন।
  • সদাই কিনে আনার তা ‘পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট’য়ের দ্রবনে পরিষ্কার করতে হবে। এই রাসায়নিক উপাদানটি পাওয়া না গেলে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
  • বাইরে ঘরে ঢোকার আগেই জুতায় জীবানুনাশক স্প্রে করে তা বাইরেই রাখতে হবে। ঘরে ঢুকে প্রথম কাজ হবে হাত ধোয়া, সম্ভব হলে পরা কাপড় ধুয়ে একেবারে গোসল করে ফেলা। যাদের পোষা প্রাণী আছে তাদের বাড়তি সাবধানতা মেনে চলতে হবে।

ইন্দ্রপ্রষ্ঠ অ্যাপোলো হাসপাতালের ‘রেস্পিরেটরি মেডিসিন’ বিভাগের পরামর্শদাতা রাজেশ চাওলা বলেন- ঘর পরিষ্কার করতে ‘হাইড্রোক্লোরাইট’যুক্ত পরিষ্কারক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে। ব্লিচিং পাউডারও যথেষ্ট কার্যকরী। ঘরে অসুস্থ কেউ থাকলে তাকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। তার ব্যবহার্য জিনিষ আলাদা করতে হবে এবং তা পরিষ্কার করতে হবে আলাদাভাবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এখনো আমরা ডোর টু ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাব: সাদিক কায়েম Sep 14, 2025
img
বিএনপি নির্বাচিত হলে দুই মাসে গ্যাস সুবিধা পাবে নাটোরবাসী: দুলু Sep 14, 2025
img
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে শাকিব খানের শোকবার্তা Sep 14, 2025
img
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা Sep 14, 2025
img
নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে জনতার ভোটে, ঘোষণা আজ Sep 14, 2025
img
রণবীর-দীপিকার বিচ্ছেদ নিয়ে নীতু কাপুরের মন্তব্য Sep 14, 2025
img
ভেঙে দেয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহাল চায় নেপালের শীর্ষস্থানীয় আট দল Sep 14, 2025
img
জিম্মি চুক্তির পথে প্রধান বাধা নেতানিয়াহু Sep 14, 2025
img
লালনগানের রানী ফরিদা পারভীন: এক অনন্ত সুরের যাত্রী Sep 14, 2025
img
আজ থেকে চাকসুর মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু Sep 14, 2025
img
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক আজ Sep 14, 2025
img

ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ Sep 14, 2025
img
কাতারে হামলায় মার্কিন-তেলআবিব সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: যুক্তরাষ্ট্র Sep 14, 2025
img
ডাকসুতে শিবির প্যানেল ৫ মাসে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে: শিবির সেক্রেটারি Sep 14, 2025
img
টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় বড় হারের স্বীকার বাংলাদেশ: জাকের Sep 14, 2025
img
গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত, গৃহহীন ৬ হাজার Sep 14, 2025
img
সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বাগেরহাটে চলছে অফিস-আদালত অবরোধ কর্মসূচি Sep 14, 2025
img
ন্যাটো দেশগুলো তেল কেনা বন্ধ করলে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবেন ট্রাম্প Sep 14, 2025
img
নেপালে নতুন রাজনৈতিক সংকট, পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবি প্রধান দলগুলোর Sep 14, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৩২তম Sep 14, 2025