ফ্যামোটিডিন গ্রহণ করা কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে মৃত্যু হার কম

কোভিড-১৯ আক্রান্ত যেসব রোগী ফ্যামোটিডিন জাতীয় অম্বলের ওষুধ গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে মৃত্যু হার অন্য রোগীদের থেকে তুলনামূলকভাবে কম। মেডআরএক্সফোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রাথমিক গবেষণা পত্রে এমন দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা সিএনএন।

গবেষণাপত্রটির সহকারী লেখক ও নর্থওয়েল হেলথের চিকিৎসক ডা. জোসেফ কনিগ্লিয়ারো বলেন, “এই গবেষণায় আমরা যা শিখেছি তা খুবই উৎসাহজনক এবং এই সম্পর্কটি (অম্বলের ওষুধ ও কোভিড-১৯) আশাব্যঞ্জক।”

গবেষণায় পর্যবেক্ষণে থাকা ১ হাজার ৫৩৬ রোগীর মধ্যে ৩৩২ জন ফ্যামোটিডিন গ্রহণ করেন নি। তাদের মধ্যে মৃত্যু হার বা আইসিইউতে যাওয়ার হার ২২ শতাংশ। অন্যদিকে, বাকী ৮৮ শতাংশ ফ্যামোটিডিন গ্রহণকারী রোগীর মধ্যে মারা গেছেন বা ভেন্টিলেটার সাপোর্ট প্রয়োজন হয়েছে মাত্র ৮-১০ শতাংশ রোগীর।

আলোচিত ফ্যামোটিডিন ওষুধটি প্রায় ৪০ বছর ধরে বাজারে রয়েছে এবং অম্বলের ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ হিসেবে জনপ্রিয়।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইরভিং মেডিকেল সেন্টারের গবেষকরা এক বিবৃতিতে বলেন, “যারা ফ্যামোটিডিন গ্রহণ করেছিলেন অন্যান্য রোগীদের তুলনায় তাদের মৃত্যুঝুঁকি দ্বিগুণ হ্রাস পেয়েছিল।”

ফ্যামোটিডিন গ্রহণকারী রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওষুধটি শুরু করে। তাদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িতে থাকা অবস্থাতেই ওষুধটি গ্রহণ করছিলেন।

তবে গবেষণায় নিশ্চিতভাবে এখনো প্রমাণিত হয়নি যে, ওষুধটি মৃত্যুর হার কমিয়েছে বা এতে সক্রিয়ভাবে প্রভাব রেখেছে। এটি একটি কাকতালীয় ঘটনাও হতে পারে।

লেখকরা তাদের বিবৃতিতে লিখেছেন, “এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে, কেন ফ্যামোটিডিন গ্রহণকারী রোগীদের মধ্যে মৃত্যু হার কম। হতে পারে এটি কাকতালীয় ঘটনা।”

মেডআরএক্সফোর একটি স্বনামধন্য অনলাইন পাবলিকেশন যেখানে বিভিন্ন গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এটি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল জার্নাল বিএমজে এবং নিউ ইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রিপ্রিন্ট সার্ভার। তবে এই সার্ভারের নিবন্ধগুলি লেখকের বৈজ্ঞানিক সমকক্ষদের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয় না।

গবেষকরা আশঙ্কা করছেন এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগেই ডাক্তাররা কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ফ্যামোটিডিন ওষুধটি দেয়া শুরু করে দিতে পারে। এ বিষয়ে কনিগ্লিয়ারো বলেন, “আমার মনে হয় ডাক্তারদের উচিৎ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অপেক্ষা করা।” তথ্যসূত্র: মেডআরএক্সফোর ও সিএন

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: