করোনা রোগীর মৃত্যুঝুঁকি জানাবে ক্যালকুলেটর

কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি কতটুকু তা জানা যাবে ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে। যেটা আবিষ্কার করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডা. অমিতাভ ব্যানার্জি এবং তার এক সহকর্মী। তারা ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ।

ওই ক্যালকুলেটরে হিসাব করে তারা বলেছেন, লকডাউন ওঠার পর ব্রিটেনের ৮০ লাখের বেশি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের বাড়িতে থাকতে হবে। তাদের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিটিশদের করোনা থেকে বাঁচাতে এবং পরবর্তী বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ৭৩ হাজারের নিচে রাখার এটাই একমাত্র উপায়।

বিজ্ঞানীরা আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, খুব দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে মৃতের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। খবর দ্য সানের

সম্প্রতি চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় ৩৮ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য রেকর্ড বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এক বছরের মধ্যে মহামারীতে অতিরিক্ত ৩৭ হাজার থেকে ৭৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গবেষকরা হুশিয়ারি দিয়েছেন যে, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসে ভোগা লোকদের মৃত্যুঝুঁকি অন্য ব্রিটিশদের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। ৭০ বছরের বেশি বয়সীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।

গবেষকরা হিসাব করে দেখেছেন যে, যুক্তরাজ্যে ৮৪ লাখ নাগরিকের মৃত্যু ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাদের বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ব্রিটিশরা যাতে নিজেরাই নিজেদের ঝুঁকি যাচাই করতে পারে সেজন্য গবেষকদের দলটি কোভিড-রিস্ক ক্যালকুলেটর তৈরি করেছে।

গবেষকদের প্রধান ড. অমিতাভ ব্যানার্জি বলেছেন, ‘বয়স্ক লোকেরা, যারা ইতোমধ্যে এক বা একাধিক স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভোগছেন তারা চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিভিন্ন পরিস্থিতির ডেটা মডেলিং ব্যবহার করে আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এসব দুর্বল ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা লকডাউন শিথিলতাকে এড়িয়ে না গেলে হাজার হাজার মৃত্যু ঠেকানো যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ক্যালকুলেটরটি প্রথম কোনো যন্ত্র যা ডাক্তার, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং জনসাধারণকে করোনায় মৃত্যুঝুঁকি জানিয়ে দেবে।’ এই ক্যালকুলেটরে ঢুকে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বয়স, লিঙ্গ ও স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য দিলে মৃত্যুঝুঁকি বের হয়ে আসবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 16, 2025
img
দেশে বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 16, 2025
img
বিসিবির কাছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোয়াবের দাবি Sep 16, 2025
img
ভেনেজুয়েলার নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩ Sep 16, 2025
img
ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাকসুর শিবির প্যানেলের দ্বীপ Sep 16, 2025
img
কাতারে আর হামলা করবে না নেতানিয়াহুর দেশ : ট্রাম্প Sep 16, 2025
img
লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি নেপালে Sep 16, 2025
img
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান মালয়েশিয়ার Sep 16, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস Sep 16, 2025
img
ফিরছে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফুটবল-ক্রিকেটে জমজমাট রাত Sep 16, 2025
img
ইইউ বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ Sep 16, 2025
img
হামাস যেখানেই থাকুক, হামলা করা হবে : নেতানিয়াহু Sep 16, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান ২৩তম Sep 16, 2025
img
শরীর নয়, মন ভালো রাখতেও জরুরি সঠিক খাবার Sep 16, 2025
img
১৬ সেপ্টেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Sep 16, 2025
img
শেরপুরে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরায় ১ দিনে পানিতে ডুবে কিশোরসহ প্রাণ হারাল ৪ Sep 16, 2025
img
চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরুর আগে সুসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Sep 16, 2025
img
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার Sep 16, 2025
img
৩ চাকার যানবাহনগুলো সঠিক গবেষণার মাধ্যমে সমাধানের তাগিদ Sep 16, 2025