ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে যশোরে ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে মা-মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে যশোরের চৌগাছা ও শার্শা উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- চৌগাছা উপজেলার উপজেলার চাঁদপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চাঁদপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী ক্ষান্ত বেগম (৪৫) ও তার কিশোরী মেয়ে রাবেয়া খাতুন (১৫), শার্শা উপজেলার বাগআচড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর টেংরা ওয়ার্ডের টেংরা গ্রামের আব্দুল গফুর পলাশীর ছেলে মুক্তার আলি (৬৫)। তিনি নসিমন চালক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ঝড়ের সময় খ্যান্ত বেগম তার মেয়ে রাবেয়া ও পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে ঘরেই ছিলেন। এরই মাঝে রাত ১০টার দিকে ঘরের পাশের একটি গাছ তাদের ঘরের ওপর ভেঙ্গে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই খ্যান্ত ও রাবেয়া নিহত হন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহিনুর রহমান ও চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার রাত ১১ টার দিকে গাছ চাপা পড়ে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর টেংরা ওয়ার্ডের টেংরা গ্রামে নসিমন চালক মুক্তার আলির মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মুজাম গাজী জানান, রাতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় মুক্তার বাড়িতে ছিলেন। এ সময় ঘরের উপর একটি গাছ ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মুক্তারের মৃত্যু হয়।
এদিকে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, ঝড়ের আগে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারলেও সবজি ও আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, ঝড়ে ঘর-বাড়ি গাছ ভেঙে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে সমগ্র জেলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও জানা যায়নি। কাজ চলছে।
টাইমস/এইচইউ