জেনে নিন, এই সময়ে যানবাহনে চলাচলের স্বাস্থ্যবিধি

কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ এড়াতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। খুলছে সব অফিস-আদালত। চালু হচ্ছে গণপরিবহনও। তবে থেমে নেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এর রাস কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।

করোনা সঙ্কটের এ মুহূর্তে গণপরিবহন এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারপরও জরুরী প্রয়োজনে যাদের যানবাহনে চলতে হচ্ছে, তাদের সুস্থ থাকতে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো-

  • সব ধরনের যানবাহন চলার ক্ষেত্রে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি প্রযোজ্য। যেমন মাস্ক পরা, সাবান-পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া, নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ না করা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মানা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি।
  • বাস ও রেলস্টেশনের অপেক্ষমাণ কক্ষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
  • যানবাহনে ওঠার আগে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে হবে। গণপরিবহনে থাকা অবস্থায় কোনোমতেই মাস্ক খোলা যাবে না।
  • যানবাহনে ওঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • যানবাহনে গাদাগাদি করে না বসে প্রতি দুই যাত্রীর মাঝে একটি আসন ফাঁকা রাখতে হবে।
  • বারবার হাত পড়ে (বাসের দরজার হাতল, সিটের সামনের রেলিং ইত্যাদি) এমন জায়গা হাত রাখা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে হাত রাখতে হবে।
  • চালক ও তার সহকারী আলাদা প্রকোষ্ঠে থাকবেন। এই ব্যবস্থা না থাকলে প্রয়োজনে পলিথিন বা কাচ দিয়ে প্রকোষ্ঠ তৈরি করে তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • গাড়িতে একাধিক দরজা থাকলে যাত্রীরা পেছনের দরজা ব্যবহার করবেন। এতে চালক ও তার সহকারী কিছুটা নিরাপদে থাকবেন।
  • গণপরিবহনে যাত্রী ওঠার আগে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • যাত্রা শেষে যানবাহন কর্তৃপক্ষ গাড়ির আসন, মেঝেসহ সব জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: