আমাদের দেহ সুস্থ রাখতে এবং দেহের বিভিন্ন দরকারি জৈবিক কার্য সম্পাদন করতে আয়রন অতি প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। এটি রক্তে অক্সিজেন পরিবহনের জন্য হিমোগ্লোবিনকে সর্বোত্তম কার্য সম্পাদন করতে সহায়তা করে।
রক্তাল্পতার অন্যতম প্রধান কারণ আয়রনের ঘাটতি। দেহের লোহিত রক্তকণিকায় আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে কোষগুলিতে অক্সিজেনের পরিবহণ ব্যাহত হয়।
আয়রন হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি এবং ক্লান্তি হ্রাস করতে সহয়তা করে। এছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তের ঘনত্ব বাড়ায় এবং ঘুম ভালো করে। তাই আমাদের খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু রাখা উচিৎ যেগুলি আমাদেরকে প্রয়োজনীয় আয়রনের সরবরাহ করতে সক্ষম।
আসুন আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য সম্পর্কে জেনে নিই
পালং শাক
সবুজ শাকসবজি নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এগুলি আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের অপরিহার্য অংশ হওয়া উচিত। পালং শাক অন্যতম স্বাস্থ্যকর শাক, যা আপনাকে পর্যাপ্ত আয়রন সরবরাহ করতে পারে।
লেগুম জাতীয় খাবার
লেগুম সমূহে ফাইবার, প্রোটিন, অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। নিরামিষাশীরা আয়রনের পাশাপাশি প্রোটিনের জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাসে লেগুম যুক্ত করতে পারেন। শিম, মসুর, ছোলা, সয়াবিন, মটর প্রভৃতি লেগুমের উদাহরণ।
কুইনোয়া
কুইনোয়াও একটি ভালো প্রোটিন উৎস নিরামিষ। প্রায় এক কাপ কুইনোয়া আপনাকে ২.৮ মিলিগ্রাম আয়রন সরবরাহ করতে পারে। এটি ওজন কমাতেও সহায়ক।
বিটরুট
রক্তস্বল্পতার সাথে লড়াই করার জন্য সাধারণত বিটরুট খাওয়া হয়। এটি ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহের একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
কুমড়োর বীজ
অনেকেই কুমড়োর বীজ ভেজে খেয়ে থাকেন। কুমড়োর বীজ সুস্বাদু খাবার, যাতে প্রচুর আয়রন রয়েছে। এই বীজগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এবং আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ভালো। এই বীজে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন-কে রয়েছে।
টোফু
টোফু একটি জনপ্রিয় আয়রন ও আমিষের উৎস। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। আপনি টোফু সালাদ তৈরি করতে পারেন, যাতে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
ব্রোকলি
ব্রোকলি হলো স্বাস্থ্যকর সবজিগুলির মধ্যে অন্যতম এবং এটি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। ব্রোকলিতে ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন-সি, প্রোটিন ও জলীয় পদার্থ রয়েছে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
টাইমস/এনজে/জিএস