ধনী বৃদ্ধির হারে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ

বিশ্বে দ্রুততম বর্ধনশীল দেশের তালিকায় ধনী জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পাওয়ার হিসাবে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

বুধবার প্রকাশিত নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্সের ‘ওয়ার্ল্ড আল্ট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এর আগে ওয়েলথ-এক্সের ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অতি-উচ্চ সম্পদশালী (ইউএইচএনডব্লিউ) জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশ ছিল সবার উপরে। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ মেয়াদে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে উচ্চ সম্পদশালী (এইচএনডব্লিউ) ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়বে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।

ধনী জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি আর মাত্র চারটি দেশ দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নাইজেরিয়া (১৬ দশমিক ৩ শতাংশ) ও মিসর (১২ দশমিক ৫ শতাংশ)। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম (১০ দশমিক ১ শতাংশ) ও পোল্যান্ড (১০ শতাংশ)।

তালিকায় থাকা প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে বাকি পাঁচটি দেশ হলো- চীন (৯ দশমিক ৮ শতাংশ), কেনিয়া (৯ দশমিক ৮ শতাংশ), ভারত (৯ দশমিক ৭ শতাংশ), ফিলিপাইন (৯ দশমিক ৪ শতাংশ) ও ইউক্রেন (৯ দশমিক ২ শতাংশ)।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেট ১০ লাখ থেকে তিন কোটি মার্কিন ডলার সম্পদের মালিক ব্যক্তিরা উচ্চ সম্পদশালী এবং যাদের তিন কোটি মার্কিন ডলারের বেশি নেট সম্পদ রয়েছে তারা অতি-উচ্চ সম্পদশালী।

ওয়েলথ-এক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে বিশ্বে উচ্চ সম্পদশালী জনগোষ্ঠী ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দুই কোটি ২৪ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে কম। আর সব উচ্চ সম্পদশালীর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৬১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধনী মানুষ থাকা শীর্ষ ১০ দেশ হলো- যুক্তরাষ্ট্র (৮৬ লাখ ৮০ হাজার অতি-উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি), চীন (১৮ লাখ ৮০ হাজার), জাপান (১৬ লাখ ২০ হাজার), জার্মানি (১০ লাখ দুই হাজার), যুক্তরাজ্য (আট লাখ ৯৩ হাজার ৯০৫), ফ্রান্স (আট লাখ ৭৭ হাজার ৩৮০), কানাডা (পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ১০), দক্ষিণ কোরিয়া (চার লাখ ৭৬ হাজার ৭০৫), অস্ট্রেলিয়া (চার লাখ ৭৩ হাজার ৬০০) ও ইতালি (চার লাখ ১৮ হাজার ৯০)।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা, গুজবে কান না দিতে নাগরিকদের অনুরোধ Nov 21, 2025
img
২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে ভারতের বিমান ঢোকা বন্ধ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক প্রকাশ Nov 21, 2025
img
বিএনপির হটকারিতার কারণে দেশ স্বৈরাচারী অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে: আকন্দ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পের পর নারায়ণগঞ্জে তুলার গোডাউনে আগুন Nov 21, 2025
img
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মুখ খুললেন মামদানি Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ৩ জেলায় নিহত ৬ জন Nov 21, 2025
img
পাকিস্তানে কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ১৫ জনের Nov 21, 2025
img
বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Nov 21, 2025
img
ইমরান কি তার স্কুলে আবার আগের মত করে ফিরতে পারবে? প্রশ্ন মাসুদ কামালের Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ঢাবির একাধিক হলের ভবনে ফাটল Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে নরসিংদীতে আহত অর্ধশতাধিক Nov 21, 2025
img
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা রোববার Nov 21, 2025
img
নৈতিকতার জায়গায় আমরা নিশ্চয়ই ভালো না : নিলোফার মনি Nov 21, 2025
img
শেষ দিন হতে পারত, ভূমিকম্পের পর বললেন ফারুকী Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ১৮ জন ঢাকা মেডিকেলে Nov 21, 2025
img
টপ থার্টিতেই থেমে গেল বাংলাদেশের মিথিলার যাত্রা Nov 21, 2025
img
সবাই কেন সমানভাবে ভূমিকম্প টের পায় না? Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা Nov 21, 2025
img
এই ভূমিকম্প আমাদের জন্য সতর্কবার্তা : উপদেষ্টা রিজওয়ানা Nov 21, 2025