পাহাড়ি ঢলে কলমাকান্দার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি তিন হাজার পরিবার

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় দু’দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া আমন বীজতলা, কাঁচা রাস্তাঘাট, পুকুর, গাছপালাসহ ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উব্দাখালী নদীর ডাক বাংলা পয়েন্টে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে এখনো পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এখনো থেমে থেমে ভারী বর্ষণ অব্যাহত। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি বৃদ্ধি পেলে পাহাড়ি ঢলে কলমাকান্দা উপজেলায় বড় বন্যার আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে, কলমাকান্দা সদর, বাসাউড়া, মন্তলা, চানপুর, আনন্দপুর, রঘুরামপুর, বিশরপাশা, নাগডড়া, পাঁচগাঁও ধারাপাড়া, নয়াচৈতা, রামনাথপুর, নক্লাই, নতুনবাজার, তেলীগাঁও, বাঘারপাড়, বিষ্ণুপুর, শিবনগর, বাউশাম, সুন্দরীঘাট, ভাষাণকুড়া, রহিমপুর, কান্তপুর, নলছাপ্রা, পাঁচকাঠা, ভাবানীপুর, শিবনগর, বালুছড়া, ইয়ারপুর, গোড়াগাঁও, গোয়াতলা, কৈলাটী, শুনই, গোবিন্দপুর, বড়ইউন্দ, কেশবপুর, সালেঙ্গা, কুতিগাঁও, ভাটিপাড়া গ্রামের খাল-বিল, ছড়া ও জলাশয়সমূহ তলিয়ে গেছে। মাঠ ও রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত।

এ বন্যায় নিম্নাঞ্চল এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যচাষিরা।

কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ফারুক আহম্মেদ জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত উপজেলায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যার পানিতে ১৪ একর আমন বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, বনার্তদের মধ্যে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এ দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

আশুরা উপলক্ষে যেসব কাজ নিষিদ্ধ করলো সিএমপি Jul 05, 2025
img
'সিতারে জমিন পার' ২ সপ্তাহে ২১৩০ কোটির ঘর ছুঁলো, তবু কি এটা ফ্লপ? Jul 05, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা Jul 05, 2025
img
‘তিন শূন্য’ অর্জনে মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের Jul 05, 2025
img
এত তাড়াতাড়ি শান্তর থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়াও উচিত হয়নি: আকরাম খান Jul 05, 2025
img
আইসিসির দ্বিমুখী আচরণের সমালোচনা করলেন লঙ্কান ধারাভাষ্যকার রোশান আবেসিংহে Jul 05, 2025
আন্দোলন এখন গলার কাঁটা, ‘গণক্ষমার চিন্তায় এনবিআর কর্মকর্তারা Jul 05, 2025
আঞ্চলিক বৈষম্য চিরতরে বিতাড়িত করতে চাই- নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
আরও ২ বছর বাড়ল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের মেয়াদ Jul 05, 2025
img
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল Jul 05, 2025
img
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে যারা সহযোগিতা করছে, তারাও অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল Jul 05, 2025
img
গত দেড় বছরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা Jul 05, 2025
img
ইরান নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করতে পারে : ট্রাম্প Jul 05, 2025
img
ভালো নির্বাচন করতে পারাও একটা বড় সংস্কার : মান্না Jul 05, 2025
img
আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন : নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ Jul 05, 2025
img
আমিই প্রথম করদাতা, আমি কর দিয়েছি আপনিও দিন: অমিত হাসান Jul 05, 2025
আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে পাহারা ছাত্রজনতার, প্রশাসনের সহায়তায় পালানোর অভিযোগ Jul 05, 2025
img
ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা ৪ জন আটক Jul 05, 2025
img
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা আর নেই Jul 05, 2025