একটি ফেসবুক পেজ: আড়াই হাজার শিশু উদ্ধার

মিসরের মিসিং চিলড্রেন নামের একটি ফেসবুক পেজে হারানো শিশুদের খুঁজে পেতে ছবি আপলোড করার পর এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ শিশুকে পাওয়া গেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি মিসিং চিলড্রেন পেজটি চালু হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল হারানো ছেলেমেয়েদের গল্প বলে ও ছবি প্রকাশ করে সচেতনতা তৈরি করা। পেজটির উদ্যোক্তা ৪৩ বছর বয়সী প্রকৌশলী রামি আল-জেবালি।

বর্তমানে ওই পেজটিতে ১৩ জন কাজ করছেন এবং এর অনুসারী সংখ্যা ১৭ লাখ। তাদের বিশাল আইনজীবী, থেরাপিস্ট ও শিক্ষাবিদদের নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে, যাতে তারা হারানো শিশুদের ফেরাতে সাহায্য করতে পারেন। এ কারণে তাদের সফলতার হারও অনেক বেশি। তাদের কাছে ৭ হাজার হারানো বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে ২ হাজার ৫০০ শিশুকে খুঁজে পাওয়া গেছে।

পেজটির উদ্যোক্তা রামি আল-জেবালি জানান, যখন পেজটি চালু করি তখন হারানো শিশুদের খোঁজার লক্ষ্য ছিল না। তবে প্রথম যখন কোনো হারানো শিশুকে ভাগ্যক্রমে পাওয়া যায়, তখন তিনি লক্ষ্য বদলে ফেলেন এবং হারানো শিশুদের খুঁজতে শুরু করেন।

জেবালি আরও জানান, তারা হারানো শিশুদের খোঁজার পাশাপাশি তাদের ভিক্ষাবৃত্তিতে না ব্যবহার করার জন্য কর্মসূচি শুরু করেছেন। এ ছাড়া রাস্তায় কোনো শিশুকে ভিক্ষা করতে দেখলে তার ছবি তুলে পোস্ট করার আহ্বান জানান তারা। এরপর সেখান থেকে হারানো শিশুদের খোঁজা শুরু হয়। বর্তমানে তাদের কাছে মিসরের সবচেয়ে বড় হারানো শিশুদের একটি ডেটাবেইস রয়েছে।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে অন্যতম প্রভাব সৃষ্টিকারী পেজ হিসেবে একে ২০১৮ সালে নির্বাচন করা হয়। ফেসবুক তাদের ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মঞ্জুরি দিয়েছে। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ফেস রিকগনিশন টুল তৈরি হয়েছে এর মাধ্যমে। মিসর ছাড়াও পেজটি রোমানিয়ায় কাজ শুরু করেছে।


টাইমস/এইচইউ

Share this news on: