জীবনে শুধু চললেই হয় না, থামতেও জানতে হয়

আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে খুলনা শহরে। যদিও আমার পৈত্রিক নিবাস পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে।বাবার চাকরি সূত্রে ছোটবেলা থেকেই স্বপরিবারে খুলনায় বসবাস। আমার মধ্যবিত্ত শহুরে ইট-কাঠের শৈশবের তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনা নেই। খুব সকালে হুজুরের কাছে আরবি পড়া, এরপর স্কুল, দুপুরে কোচিং, বিকেলে উদীচী, সন্ধ্যায় মায়ের কাছে পড়তে বসা এভাবেই বাড়তে থাকে আমার নাগরিক শৈশব। আনন্দের একমাত্র স্থান ছিল স্কুল।

আমার স্কুল ছিলো সরকারি করোনেশন গার্লস স্কুল, ৩য় শ্রেণিতে ভর্তি হই, এর আগে মিশনারিজ স্কুল ফাতেমা কিন্ডারগার্টেনে পড়েছি ক্লাস টু পর্যন্ত। আমার গল্পটা খুবই সাদামাটা, স্কুল-কলেজে জীবনে কখনো প্রথম হয়েছি বলে মনে পড়ে না। আমার বাবা-মা খুব বেশি মাত্রায় ক্যারিয়ার সচেতন হলেও প্রথম হওয়ার জন্য চাপে রাখেননি কখনোই। যার ফলে আমি মানসিকভাবে চির জীবনই শান্তি এবং স্বস্তির মধ্যে ছিলাম। আজ জীবনের এই পর্যায়ে এসে মনে হয়, আমার বাবা খুবই উচ্চমানের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন, উনি কখনোই আমাদেরকে সফলতার মাত্রা বেঁধে দিয়ে ব্যর্থ হতে দেননি। ফলে রেজাল্ট যা ই করি না কেন, চরম হতাশা কখনো আমাকে স্পর্শ করতে পারে নি। প্রথম না হলেও প্রথম সারির ছাত্রী হিসেবে শিক্ষকদের স্নেহভাজনদের তালিকায় ছিলাম স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি সর্বত্র। আমার কলেজ ছিলো খুলনা এম এম সিটি কলেজ।

কলেজ লাইফ নিয়েও উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা নেই। তবে একটি দুর্ঘটনা আছে। জীবনে কিছু সময় আসে যা জীবনকে বদলে দেয়। তেমনি একটি ঘটনা ঘটে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার সময়ে। ফিজিক্স সেকেন্ড পেপার পরীক্ষার হলে যাওয়ার পথে একটা এক্সিডেন্টে আমি হাসপাতালে ভর্তি হই এবং ঘন্টাখানেক পরে জ্ঞান ফিরে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আমাকে এম্বুলেন্সে করে পরীক্ষার হলে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যে আরো এক ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল আমাকে নিয়ে যাওয়া এবং পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে করতে। ঘাড়ে মারাত্মক ইনজুরি, হাতে পায়ে কাটা-ছিলা উপেক্ষা করে শরীরে নানাবিধ ইনজেকশনসহ বাম হাতে স্যালাইন নিয়ে হুইল চেয়ারে বসে শেষের এক ঘণ্টা পরীক্ষা দিতে পেরেছিলাম। মাঝখানে দুই দিন ছুটির পরে কেমিস্ট্রি ফার্স্ট পেপার পরীক্ষার দিন সকালে ভীষণ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমাদের তিন তলার বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হয়তো জীবনে ঠিক কী হতে যাচ্ছে এসব ভাবছিলাম ছলছল চোখে। তখন আমার এক বান্ধবীর বাবা সাইকেল থামিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে বললেন, 'কি রে, তুই যাবি না! পেচিরে (বান্ধবীকে কাকু এই নামে ক্ষেপাতো) তো নামায় দিয়ে আসলাম।" ঐ মুহূর্তটা আমার এখনো এতো তীব্রভাবে মনে আছে যে, মাঝে মাঝে আমি এটা স্বপ্নও দেখি। ঘরের জামা পরেই পেন্সিল বক্সটা নিয়ে একছুটে নিচে নেমে কাকুর সাইকেলে গিয়ে বসি। ঐ দিনও প্রায় আধা ঘণ্টা লেট। এর পরের পরীক্ষা গুলোতে শুধুমাত্র স্বপ্নাহুতের মতো হলে গিয়েছি আর এসেছি। এত কসরত করে পরীক্ষা দেওয়ার কারণ হল ইয়ার ড্রপ দেয়ার কথা ভাবতেই পারতাম না।

এইচএসসি রেজাল্ট আশানুরূপ হবে না জানা ছিল, তবে তা গ্রহণ করা যে এতটা কঠিন হবে ভাবতে পারি নি। আমার অন্যান্য বান্ধবীরা যখন বুয়েট মেডিকেল নিয়ে অঙ্ক কষছে, আমি তখন আটকে ছিলাম রিটেক দিব নাকি ইমপ্রুভমেন্ট দিবো এই সিদ্ধান্তহীনতায়। বরাবরের মতই আমার পরিবার আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি।

এডমিশন টেস্টের নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে অবশেষে মেরিটে চান্স পেলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। আমার লাইফের প্রথম টার্নিং পয়েন্ট এটাই। যখন আমার বান্ধবীরা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেল, আর আমি সম্পূর্ণ উল্টো পথে আইন অনুষদে ভর্তি হলাম। তবে কিছু একটা ছিল আমার মাঝে, হয়তো আমার বাবার শিক্ষা, কোন খারাপ পরিস্থিতিই আমাকে কখনো ছোট করতে পারে নি। আমার অনেক ক্লাসমেটদের দেখেছি, তারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়ে সুখী ছিল না, সব সময় হতাশাগ্রস্ত থাকতো অথচ তারা হয়ত আমার চেয়ে তুলনামূলক কম চড়াই পাড়ি দিয়ে উথরে এসেছে। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই টের পেতাম, সহপাঠীদের মধ্যে কম করে হলেও শতকরা আশি জন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে। শুধু আমাদের ক্লাসই না, সিনিয়র, জুনিয়র ব্যাচের ভাই-বোন, এমন কি শিক্ষকদের অনেকেও কখনোই নিজের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজের ডিপার্টমেন্টকে ওউন করতে পারে নাই, যার প্রভাব পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রেও পড়েছে।
যাকে আপন ভাবতে পারা না যায়, তার উৎকর্ষ সাধন কেমনে হয়!

২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হই। বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের গণরুম থেকে হল জীবনের শুরু। ১ম বর্ষে প্রচুর আনন্দ করেছি , বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি, বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাস থেকে ফেরা, রাতে লনে সময় কাটানো, হলের রুমের কার্নিশে বাইরের পাখি পোষা, কত কী! গণরুমের প্রতিটা সন্ধ্যায় আনন্দের আসর বসতো। আমার এতোদিনের বন্দি জীবন অনাবিল স্বাধীনতার সুখ পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে, তাই যেন ক্যাম্পাসের সব কিছুই আমার ভীষণ ভালো লাগতো। মূল গেটের কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে শুরু করে ডায়না চত্ত্বরের বাঁদরলাঠি গাছের সারি, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি, স্মৃতিসৌধ, আমার ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং, পেয়ারা বাগান, বকুল তলা, আমার প্রিয় হলের দোতালার লন, বঙ্গবন্ধু হলের পুকুর পাড় সবই মুগ্ধ করতো আমাকে। বৃষ্টির পরে মাটির যে সোঁদা গন্ধ, তাও আমি প্রথমবারের মতো চিনেছিলাম ক্যাম্পাসে এসে। প্রকৃতির এমন নিবিড় সান্নিধ্য এর আগে আমার ভাগ্যে জোটে নি। এছাড়াও নিঃসঙ্গ শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে বন্ধুত্বের জন্য খাঁ খাঁ করা হৃদয় আমার একসাথে অনেক বন্ধু পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে। একটা ভাল বন্ধু পাওয়ার জন্য কতজন মানুষ নামাযে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে আমার জানা নেই, তবে আমি করেছি। পেয়েছিও। একটা নয়, একাধিক। এর কারণ অবশ্য তখন বুঝিনি, এখন বুঝতে পারি। তা হলো, বন্ধু যখন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা হয়ে যান তখন তিনি প্রয়োজনের সময় কারো না কারো উসিলায় সাহায্য পাঠাবেনই। আলহামদুলিল্লাহ, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার বন্ধুদের অবদান অবিস্মরণীয়। তারা যেমন আমার প্রাণের কাছাকাছি এসে আমাকে সঙ্গ দিয়ে সুখী করেছে, ঠিক তেমনি কখনো অভিমানে কখনো ঈর্ষায় দূরে সরে গিয়ে আমাকে জীবনে ঘাত সইবার মতো শক্ত করে প্রস্তুত করে দিয়েছে। জীবনে যা কিছু শিক্ষা ঠেকে বা ঠকে শিখেছি, তার বেশিরভাগই অর্জন করেছি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে, যা আমার পুরো জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে।

আমরা যখন ভার্সিটিতে আসি তখন আইন বিভাগের ইতিহাসে একটা অন্ধকার যুগ অতিক্রান্ত হচ্ছিল। সেশন জ্যাম তখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়াও রাজনৈতিক কোন্দল, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত কোন্দল ইত্যাদির ফলে বলির পাঠা হতে হয়েছিল আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ১ম বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিলাম আন্দোলন করে। পরীক্ষার দিন হলে উপস্থিত হয়েও প্রকৃতপক্ষে পরীক্ষাটাই হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। আমাদের সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধতার কারণে কিছুটা দেরিতে হলেও পরীক্ষা শুরু হয়। প্রতি ইয়ারে ২/৩ টি করে ব্যাচ থাকতো। একটা ক্লাসের জন্য সারাদিন অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত কোনদিন হতো, কোন দিন হতো না। আমার মনে আছে, কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট যখন সাড়ে তিন বছরে ওদের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছে তখন আমরা কেবল সেকেন্ড ইয়ার পরীক্ষার গুঞ্জন শুনছি।

এতো সব নেতিবাচকতার ভীড়ে আমি চলতে লাগলাম আমার নিজস্ব গতিতে। যে কোন এক্সট্রা কারিকুলামে আমার আগ্রহ ছিল। রচনা প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে আবৃত্তি, অভিনয়, উপস্থিত বকৃতা, বিতর্ক, উপস্থাপনা সবকিছুতেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতাম। হল ম্যাগাজিন, মুক্তবাংলা ইত্যাদির প্রতিটি সংখ্যায় লিখতাম। তবে সব কিছু ছাপিয়ে ক্যাম্পাসের স্মৃতিগুলোর গৌরবের অংশ জুড়ে রয়েছে বিতর্ক, যা আমাকে শুধু পরিচিতিই নয় পরিতৃপ্তিও এনে দিয়েছিল। হলে ও হলের বাইরে তখন বিতর্ক প্রতিযোগিতার মৌসুম। সে কতো আঙ্গিকের বিতক! রম্য বিতর্ক, বারোয়ারি বিতর্ক, সনাতনী বিতর্ক, সংসদীয় বিতর্ক...। ক্রিকেট জ্বরের মতো তখন সারা ক্যাম্পাসে বিতর্কের উন্মাদনা! সে এক সময় ছিল আমাদের! হলের 'এ' ব্লকের সাথে 'বি' ব্লকের, এক হলের সাথে আরেক হলের, এক ডিপার্টমেন্টের সাথে আরেক ডিপার্টমেন্টের ইত্যাদি নানামুখী বিতর্ক লেগেই থাকতো। ক্রিকেট/ফুটবলের মতো টুর্নামেন্ট হতো। মজার ব্যাপার হল প্রতিটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আমার দল থাকতো, সে আন্তঃহল হলে আমার হল, আন্তঃবিভাগ হলে আমার বিভাগ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলতে হলে সেই বিতর্ক কেন্দ্রিক একটা ঘটনা বলতে হয়। আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলছিল। বিভিন্ন ধাপ পার হয়ে আমার হল (ফজিলাতুন্নেসা) ও বঙ্গবন্ধু হল আসলো ফাইনালে। সঙ্গত কারণেই এই ফাইনাল এপিসোড ঘিরে ক্যাম্পাসে তখন টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সমস্যা হলো ভেন্যু নিয়ে। কি যেন একটা কারণে (এখন মনে নেই) উন্মুক্ত মাঠে আয়োজন করা যাচ্ছিল না। এদিকে ছেলেরা মেয়েদের হলে আসবে না, আবার মেয়েরাও ছেলেদের হলে যাবে না। তখন টচ হলো। টচে ভেন্যু পড়লো বঙ্গবন্ধু হলে। কী সাংঘাতিক অবস্থা! মেয়েরা ভয়ে ছিল যে হেরে গেলে ওখান থেকে বের হয়ে আসবে কী করে! আর ছেলেদের ভয় ছিল হেরে গেলে মেয়েরা ওদেরকে ওদের হলেই পচায় রেখে আসবে। উভয় পক্ষের প্রেস্টিজ ইস্যু বলে কথা! যারা কখনো বিতর্কের আসেপাশেও ছিল না তারাও পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার দুই পক্ষে ভাগ হয়ে গেল। আরও জমেছিল কারণ আমাদের হলকে আমি আর ছেলেদের হলকে আমারই সহপাঠী, আমার পরম বন্ধু মেফতাহুল হাসান সান লিড দিচ্ছিল।

জীবনে এর আগে পরে অনেক বড় বড় বিতর্ক করেছি, আন্তঃবিভাগ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় টিভি বিতর্ক কিন্তু দলনেত্রী হিসেবে এতোখানি স্নায়ুচাপে কখনো থাকিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু হলে যাওয়ার জন্য মেয়েদেরকে বাস দিয়েছিল, এছাড়াও হেঁটে বা ভ্যানে করে প্রায় সব মেয়েরা উপস্থিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হলের হল রুমে, আর ছেলেদের উপস্থিতির ঢল তো আছেই। কী বলেছিলাম, কিভাবে বলেছিলাম কিছুই আর এখন মনে নেই, তবে জানি সেদিন যদি শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হয়ে হলকে জেতাতে না পারতাম তাহলে মাইর আর একটাও মাটিতে পড়তো না। খুব উল্লাসের ক্ষণ ছিল সেই সন্ধ্যা। ভ্যান ভরে ভরে মেয়েরা ঢোল, তবলা, ঘটি, বাটি, বাসন-চামচ বাজিয়ে বাজিয়ে মজার মজার শ্লোগান আউড়ে বিজয় মিছিল করেছিল। অনেক রাত ধরে হলে রং খেলা ও নাচ গানের উৎসব হয়েছিল। টানা কয়েকদিন ধরে উৎসবের ইমেজ চলেছিল।

সেই সব দিনের সুবাস আজও এঁটে আছে মনের কোণে। আহারে জীবন! ভীষণ মিস করি সেই সব সোনালি দিন। সত্যিই সময়টা তখন আমাদের দখলে ছিল। ক্যাম্পাস বিতর্ক অঙ্গনে একটানা ২০১২ সাল পর্যন্ত নাম কামাই করেছিলাম। একের পর এক জাতীয় বিতর্কে শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হওয়া যেন রুটিনে পরিণত হয়েছিল। এটিএন বাংলায় প্রচারিত আমাদের বিতর্ক প্রতিযোগিতাগুলো হলের টিভি রুমে বসে উপভোগ করতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটানা এতগুলো টিভি বিতর্কে বোধহয় আগে কখনো জেতা যায় নি। হয়তো সেকারণেই সকলের মধ্যমণি হয়ে বেশ সমাদৃত ছিলাম সকল মহলে। বাকী অংশ দেখতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে....

 

লেখক পরিচিত

আশরাফুন্নাহার রীটা
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট,
নাটোর।

 

টাইমস/টিএইচ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শুধু কথা দিয়ে ইসরায়েলি বর্বরতা থামবে না : পেজেশকিয়ান Sep 16, 2025
img
রশিদ খানরা এগিয়ে, তবুও রিশাদে ভরসা রাখছেন মুশতাক Sep 16, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 16, 2025
img
দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 16, 2025
img
বিসিবির কাছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোয়াবের দাবি Sep 16, 2025
img
ভেনেজুয়েলার নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩ Sep 16, 2025
img
ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাকসুর শিবির প্যানেলের দ্বীপ Sep 16, 2025
img
কাতারে আর হামলা করবে না নেতানিয়াহুর দেশ : ট্রাম্প Sep 16, 2025
img
লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি নেপালে Sep 16, 2025
img
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান মালয়েশিয়ার Sep 16, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস Sep 16, 2025
img
ফিরছে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফুটবল-ক্রিকেটে জমজমাট রাত Sep 16, 2025
img
ইইউ বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ Sep 16, 2025
img
হামাস যেখানেই থাকুক, হামলা করা হবে : নেতানিয়াহু Sep 16, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান ২৩তম Sep 16, 2025
img
শরীর নয়, মন ভালো রাখতেও জরুরি সঠিক খাবার Sep 16, 2025
img
১৬ সেপ্টেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Sep 16, 2025
img
শেরপুরে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরায় ১ দিনে পানিতে ডুবে কিশোরসহ প্রাণ হারাল ৪ Sep 16, 2025
img
চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরুর আগে সুসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Sep 16, 2025