সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা পলাতক

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে এসএমপির শাহপরাণ থানা পুলিশ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রবাস থেকে স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে।

এদিকে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দেশব্যাপী প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার পরপর র‌্যাব-৯ ও সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যান ওই গৃহবধূ। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের মূল গেটের দিকে যান। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রনজিত সরকারের অনুসারী কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চায়। এতে তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারপিট শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম গণমাধ্যমকে বলেন, রাত ৯টার দিকে স্বামীকে ধরে নিয়ে কিছু ছেলে মারপিট করে। গৃহবধূকে ছাত্রাবাসের ভেতরে নিয়ে ছাত্রলীগের তিন-চারজন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের সুপার মো. জামাল উদ্দিন জানান, কয়েকজন ছাত্রাবাসে এক দম্পতিকে আটক রেখে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। আমরাও খোঁজখবর নিচ্ছি।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সেমন্তী সৌমির পছন্দ দেশি ছেলে! Sep 15, 2025
img
চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করতে হবে : চসিক মেয়র Sep 15, 2025
img
রাজপথ নয়, এখন সময় জনগণের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার : আমীর খসরু Sep 15, 2025
img
শৈশবে ভোরে ফুল বিক্রি করে ইডলি কিনতেন ধানুশ Sep 15, 2025
img
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া দুই ডিসি প্রত্যাহার Sep 15, 2025
img
২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি : তনুশ্রী দত্ত Sep 15, 2025
নায়িকা মানেই প্রতিদ্বন্দ্বী? আনুশকা-প্রিয়াঙ্কার দ্বন্দ্ব ফের সামনে এলো | Sep 15, 2025
img
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আফগানিস্তান দলের জন্য দুঃসংবাদ Sep 15, 2025
img
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক Sep 15, 2025
img
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন : দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ জন Sep 15, 2025
img
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানোর সহযোগীদের নাম প্রকাশ করলেন মাহমুদুর রহমান Sep 15, 2025
নেপালের নোবেল-বঞ্চিত হওয়ার কারণ বললেন শাওন! Sep 15, 2025
img
দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে : আবুল খায়ের ভূঁইয়া Sep 15, 2025
পিআরের দাবিতে একইদিনে মাঠে নামছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন! Sep 15, 2025
জকসুর দাবি শিবিরের, কাল থেকে কর্মসূচি ! Sep 15, 2025
img
শুল্কের চাপে বাণিজ্যে ধস, দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের বৈঠক Sep 15, 2025
ভারতীয় শুল্কনীতিতে কড়া বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র! Sep 15, 2025
img
'গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে দল-মতের ঊর্ধ্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে' Sep 15, 2025
img
রাজনৈতিক বোঝাপড়া তৈরিতে ৫ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক Sep 15, 2025
img
দোহায় তৌহিদ হোসেন-ইসহাক দার বৈঠক Sep 15, 2025