যশোরে বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের যাবজ্জীবন

যশোরে রত্না খাতুন নামে বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) টিএম মুসা এ রায় দেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান খাঁ সদর উপজেলার সালতা গ্রামের আবুল কাশেম খাঁর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি মন্টুকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, সদর উপজেলার সালতা গ্রামের শহর আলীর বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে রত্না খাতুন প্রতিবেশী আকবর আলী মাস্টারের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। সেই সুবাধে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ২০১৭ সালের ২৮ মে রত্নাকে এলাকার বুড়ো মার মাজারের দিকে ডেকে নিয়ে যায় হাবিবুর ও মন্টু। এসময় তাদের দেখতে পান ওসমানপুর গ্রামের জহর আলী শেখের ছেলে খায়রুল শেখ। কিন্তু এরপর রত্না আর ফিরে না আসায় খায়রুল শেখসহ অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটি তার বাবা শহর আলী শেখকে জানান।

পরে ৩১ মে এলাকার মেজের মোল্যার মাজারের পাশে রত্নার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রত্নার বাবা শহর আলী বাদী হয়ে হাবিবুর রহমান ও মন্টুর বিরুদ্ধে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

মামলাটি আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ এফআইআর করে। তদন্ত শেষে হাবিবুর রহমান ও মন্টুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: