চাকরি পাওয়ার ১০টি সহজ উপায়

বর্তমান যুগ প্রতিযোগিতার যুগ। চাকরি-বাকরি, খেলাধুলা, ব্যবসা-বানিজ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে টিকে থাকতে সম্মুখীন হতে হয় প্রতিযোগিতার। প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশই তার পছন্দসই জায়গায় পৌঁছাতে পারছে না। কারণ প্রতিযোগিতায় সে হয়তো অন্যের চাইতে পিছিয়ে আছে। আর সেটা যদি হয় বাংলাদেশের চাকরির বাজার, তাহলেতো কথাই নেই। আপনাকে সম্মুখীন হতে হবে কঠিন প্রতিযোগিতার।

চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে এগিয়ে রাখতে জেনে নিন কিছু উপায়। আপনাদের সুবিধার্থে সহজে চাকরি পাওয়ার ১০ টি উপায় উল্লেখ করা হলো।

১. নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন: অনেকেরই অনেক ধরণের পছন্দ থাকতে পারে। সব সময় নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে শিখুন। নিজে যে চাকরি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেটাই বেছে নিন। মনের বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে না গিয়ে পছন্দের চাকরির খোঁজ করুন। আর সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করুন।

২. চাকরি বিষয়ে ভালো ধারণা রাখুন: বর্তমান প্রতিযোগিতার বিশ্বে নিজেকে অন্যের থেকে এগিয়ে রাখতে চাইলে পছন্দের চাকরি সম্পর্কে বিশদ ধারণা রাখুন। যা অন্যেদের থেকে আপনাকে একধাপ এগিয়ে রাখবে। কারণ কোনো চাকরিদাতাই এমন একজন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ দেবেন না, যিনি ওই চাকরি সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখেন না। সুতরাং ভালো কোনো চাকরি পেতে হলে ওই চাকরি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।

৩. নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: আপনার চাকরির খোঁজ আপনাকেই নিতে হবে। তাই পছন্দের চাকরি পেতে হলে ওই চাকরিগুলোর প্রতি প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইন্টারনেটের সহায়তা নিতে পারেন। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।

৪. যোগাযোগ রাখুন: আপনার পছন্দের চাকরি কোনটি, আর সেই ধরণের চাকরিতে আপনার কাছের বা পরিচিত কেউ থাকলে তার সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখার চেষ্ঠা করুন, খোঁজ-খবর রাখুন। আর না থাকলে পছন্দের চাকরির সাথে সম্পৃক্ত কারো সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন। যা আপনাকে চাকরি পেতে খুবই সহায়তা করবে। কারন ওই চাকরির সাথে সম্পৃক্ত একজনের রেফারেন্স আপনাকে অন্যের থেকে এগিয়ে রাখবে।

৫. পরামর্শ গ্রহণ করুন: আপনার পছন্দের চাকরি পেতে কি কি করণীয়, তা ওই চাকরিসম্পর্কিত অভিজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিন। আর সেই মতো নিজেকে প্রস্তুত করুন।

৬. সাক্ষাৎকারে সঠিক উত্তর দেয়া: বেশির ভাগ জবের ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয়। সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি উত্তর জানা না থাকে তাহলে পারি না বা জানি না বলাই শ্রেয়। কারণ ভুল উত্তর দিয়ে প্রশ্নটা কাটিয়ে উঠতে গেলেই বিপদ।

৭. সাক্ষাৎকারে আকর্ষণীয় উপস্থিতি: চাকরিপ্রার্থীকে চাকরিদাতাদের সামনে কখনোই উগ্র মেজাজি হওয়া উচিত নয়। এ জন্য পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে আচার-আচরণ, চলাফেরা এমনকি কথাবার্তার মাধ্যমেও সর্বদা শালীন ভাব প্রকাশ করতে হবে। যাতে চাকরিপ্রার্থীর ওপর চাকরিদাতাদের একটা আত্মবিশ্বাস ও ভালো ধারণা জন্মে।

৮. অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখুন: সাক্ষাৎকারের পর হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। ভালো সাক্ষাৎকার দিলে যে কোনো সময় চাকরির জন্য ডাক আসতে পারে। এ জন্য চাকরিপ্রার্থীকে ওই অফিসের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে। অনেকে হয়তো ওই অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখাটা একটা কঠিন ও ভয়ের কাজ মনে করে। যার ফলে তারা চাকরি থেকে পিছিয়ে পড়েন।

৯. নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করুন: কোনো চাকরি লাভের প্রথম শর্ত হচ্ছে ওই চাকরিতে নিজেকে যোগ্য করে তোলা। ওই চাকরি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিক জ্ঞান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কোনো চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রায়ই চার-পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা চায়। আর অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পক্ষে চাকরি সাক্ষাৎকারে টিকে থাকা কিংবা চাকরিতে যোগদান সহজ হয়।

১০. পার্টটাইম চাকরির অভিতজ্ঞা নিন: বর্তমানে বেশিরভাগ চাকরিতেই অভিজ্ঞা চায়। যা অধিকাংশ চাকরি প্রার্থীর থাকে না। তাই পার্টটাইম চাকরি করুন। ফলে ওই চাকরি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বাড়বে। এভাবে নিজেকে পছন্দের চাকরি বিষয়ে অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলুন।

Share this news on:

সর্বশেষ