পরীক্ষা নিয়েই মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী ভর্তি

পরীক্ষা নিয়েই আগামী বছর সব বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির পক্ষে মত দিয়েছেন রাজধানীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনটি ক্লাস্টারে নয়টি ধাপে এ পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনার জানিয়েছেন তারা। তবে যদি কোনোভাবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে লটারির মাধ্যমে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি-সংক্রান্ত বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব প্রস্তাব করেন বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার একটি সূত্র জানায়, গত বছরের মতো এবারও পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর পক্ষে মত দিয়েছেন রাজধানীর বেশির ভাগ সরকারি মাধ্যমিকের স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। তিনটি ক্লাস্টারে ভাগ করে তিন দিন করে মোট ৯ দিনে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব দেন তারা।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা বলেছেন, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হলে তাতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অসম্ভব। এছাড়া অনেকেরই হয়তো যথাযথ প্রযুক্তিগত সুবিধা নেই। কাজেই অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখন নয়।

সূত্রটি আরও জানায়, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী উপযুক্ত বা পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে না।

সবকিছু বিবেচনা করে অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পক্ষে মত দেন। তবে পরীক্ষাটি সীমিত প্রশ্ন ও স্বল্প সময়ে শেষ করার উপযোগী করে আয়োজনের পক্ষে পরামর্শ দেন শিক্ষকরা।

মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর বিষয়ে একটি পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। এখনই কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। সভায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের মতামত চাওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা মতামত দিয়েছেন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: