বিবর্তনে ভিন্ন রুপে করোনা : বেড়েছে সংক্রমণ ঝুঁকি

চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়েছিল যে করোনাভাইরাস এবং বর্তমানে সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগ দু’টির স্ট্রেইন সম্পূর্ণ  আলাদা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিবর্তনের সামান্য কিছু পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি আগের থেকেও আরো বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা লাভ করেছে। নতুন স্ট্রেইনটিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ৬১৪জি।

পরিবর্তিত এই স্ট্রেইনটির দ্বারা আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে এবং গলায় অধিক পরিমাণে ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি দেহে তেমন কোনো উপসর্গই দেখা দিচ্ছে না। এই পরিবর্তন ভাইরাসটিকে আরো বেশি ছড়িয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এপিডেমোলজি, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনোলজি’র অধ্যাপক রালফ বেরিক এ বিষয়ে বলেন, ‘ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে বা বাহ্যিক আবরণের কোষে পরিবর্তন এসেছে। এই অঞ্চলটি সাধারণত আমাদের দেহে প্রথম প্রবেশ করে। এই পরিবর্তন ভাইরাসটিকে এর পূর্বসূরীদের তুলনায় বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে ।’

গবেষণার ফলে বোঝা যাচ্ছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপে আবির্ভাবের পর কিভাবে এই ৬১৪জি স্ট্রেইনটি দ্রুততম সময়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম হয়েছে। ‘সাইন্স’ জার্নালে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকদের মতে, যাদের দেহে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়েছে তা ভাইরাসের উভয় স্ট্রেইনকেই কার্যকর ভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম।

অধ্যাপক রালফ বেরিক আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রথম স্ট্রেইনটির দ্বারা আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি নতুন স্ট্রেইনটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। ভাইরাসটি প্রতিরোধ করতে যে সব টিকা তৈরি করা হচ্ছে তা মূলত প্রথম স্ট্রেইনটির উপর ভিত্তি করেই করা হচ্ছে। আশার কথা হলো প্রথম স্ট্রেইনটির ফলে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি নতুন স্ট্রেইনটিকে মোকাবেলা করতে সক্ষম ‘

বেরিকের মতে, ভাইরাসটির এই পরিবর্তন বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতিকে খুব একটা প্রভাবিত করবে না। তবে কত দ্রুত নতুন স্ট্রেইন সমূহ বিকশিত হচ্ছে এবং এর ফলে ভবিষ্যতে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি

 

টাইমস/এনজে/এসএন

 

Share this news on: