অ্যান্টিবায়োটিক শিশুদের অ্যালার্জি ও অ্যাজমা ঝুঁকি বাড়ায়  

দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হলে শিশুরা পরবর্তীকালে অ্যালার্জি ও অ্যাজমার মতো গুরুতর রোগে ভুগতে পারে। চলতি সপ্তাহে মায়ো ক্লিনিক কর্তৃক প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মায়ো ক্লিনিকের গবেষক নাথান লেব্রাসিউর বলেন, ‘গবেষণার মধ্যদিয়ে ২ বছরে কম বয়সের শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ ও পরবর্তীকালে অ্যাজমা-অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে আমরা বলছিনা যে, অ্যান্টিবায়োটিক রোগগুলোর কারণ, তবে দুইয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্কে আছে।’

গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন ও মিনেসোটার ১৪,৫০০ শিশুর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছেন। এতে দেখা গেছে, এসব শিশুর প্রায় ৭০ শতাংশ অন্তত একবার হলেও এই বয়সের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেছে। যাদের বেশিরভাগই একাধিকবার তা গ্রহণ করেছে।

লেব্রাসিউর বলেন, ‘এদের মধ্যে যে সব শিশু এক থেকে দুইবার অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ গ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে কন্যা শিশুদের অ্যাজমা এবং সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চমাত্রার প্রবণতা দেখা গেছে। যারা তিন থেকে চারটি ডোজ গ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষ সব শিশুর অ্যাজমা, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিজ এবং স্থূলতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘যে সব শিশু পাঁচবার বা তার বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ গ্রহণ করেছে তাদের অ্যাজমা, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, স্থূলতা, মেদ বহুলতা এবং এডিএইচডি আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।’

গবেষণা থেকে জানা যায়, শিশুদেরকে সাধারণত যে সব অ্যান্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রাইব করা হয়, তার মধ্যে পেনিসিলিন অন্যতম। এই ওষুধটি গ্রহণের সাথে শিশুদের অ্যাজমা ও স্থূলতা বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। তবে মেয়ে শিশুদের মধ্যে ওষুধটি অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হ্রাস করে।

অন্যদিকে সেফালসফরিন অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে একাধিক জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে, তবে অটিজম এবং খাবারের অ্যালার্জি’র সাথে এর গভীর যোগাযোগ রয়েছে।

গবেষকদের মতে, অ্যান্টিবায়োটিকের ফলে অন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়, এর ফলে শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার পরিপূর্ণ বিকাশে বিঘ্ন ঘটে। যেহেতু ওষুধটি ভাল এবং মন্দ ব্যাকটেরিয়ার পার্থক্য করতে পারে না তাই শিশুদেহে এটি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিপিএল ফিক্সিংকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: আসিফ মাহমুদ Nov 09, 2025
img
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে অপরাধী বলাটাও অপরাধ: আসিফ আকবর Nov 09, 2025
img
স্বাধীনতার পরও দেশকে আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত থাকতে দেওয়া হয়নি : জাহিদুল ইসলাম Nov 09, 2025
img
জহির রায়হান নিখোঁজের পর অভাবে গাছের পাতা খেয়েছি: সুচন্দা Nov 09, 2025
img
৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে 'ধুরন্ধর', ট্রেইলার লঞ্চে উন্মাদনার ঝড় Nov 09, 2025
img
জীবনধারা ৮০ শতাংশ পরিবর্তনেই স্ট্রোকের থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব Nov 09, 2025
img
দেশে যত সংকট দেখছেন সব তৈরি করা : মির্জা ফখরুল Nov 09, 2025
img
ইসলামী ব্যাংক থেকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে দুদকের মামলা Nov 09, 2025
img
তারেককে অনশন ভেঙে আপিল করার আহ্বান ইসি সচিবের Nov 09, 2025
img
চট্টগ্রাম নগরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল, ৩ জন গ্রেপ্তার Nov 09, 2025
img
১৫১ বছরের পুরোনো ঘড়ির সামনে উন্মোচিত হলো টেস্ট সিরিজের ট্রফি Nov 09, 2025
img
আইনের প্রতি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সমর্থন রয়েছে : প্রসিকিউশন Nov 09, 2025
img
দুর্নীতির মামলায় কাজী নাবিলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Nov 09, 2025
বিসিএস পরীক্ষার্থী এবং পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা উত্তপ্ত Nov 09, 2025
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বললেন প্রসিকিউটর Nov 09, 2025
img
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের সময় শেষ হচ্ছে কাল Nov 09, 2025
জামায়াতের সতর্কবার্তায় তপ্ত রাজনৈতিক সপ্তাহের আভাস Nov 09, 2025
শিক্ষকদের অর্থ না থাকতে পারে, আমাদের আছে মর্যাদা-প্রাথমিক শিক্ষক Nov 09, 2025
img
শিবির কোনো কাজ করলেই কারো না কারো কলিজায় লাগে : এস এম ফরহাদ Nov 09, 2025
img
ফাইনালে হংকংয়ের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ Nov 09, 2025