দূষিত বায়ু ও উচ্চ শব্দ বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে প্রতিবছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ মারা যায়। তাই হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ হিসেবে বিবেচিত।

বায়ু ও শব্দ দূষণের সাথে হৃদরোগের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। সম্প্রতি ‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল’ কর্তৃক প্রকাশিত একটি নিবন্ধে গবেষকরা এ বিষয়ে জোরালো তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হৃদরোগ একটি বৃহৎ পরিসর, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রোগ রয়েছে। বিশ্বজুড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যত লোক মারা যায়, তাদের ৫ জনের ১ জন মারা যায় হার্ট অ্যাটাকের ফলে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হৃদরোগের জন্য দায়ী কারণ সমূহের মধ্যে রয়েছে ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, কম শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ প্রভৃতি। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে এই রোগটির জন্য পরিবেশ দূষণ বিশেষ করে বায়ু ও শব্দ দূষণ অনেকাংশেই দায়ী।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ু দূষণের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে পূর্ববর্তী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছিল, রাস্তা থেকে যানবাহনের শব্দ প্রতি ১০ ডেসিবল বৃদ্ধির পাশাপাশি ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

গবেষকরা বলছেন, কোনো ব্যক্তি জেগে থাকুক কিংবা ঘুমিয়ে থাকুক, শব্দ দূষণের ফলে সে সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে জেগে থাকার সময় এসব শব্দে ব্যক্তি বিরক্ত ও রাগান্বিত হয় এবং তার মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এর মধ্যদিয়ে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ বৃদ্ধি ঘটে, যা সরাসরি হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে। শব্দ দূষণের মধ্যদিয়ে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভাল ও নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম প্রয়োজন।

এছাড়াও শব্দ ও বায়ু দূষণ নানা ভাবে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এর ফলে সাময়িক প্রভাব হিসেবে ধমনীর সংকোচন ও রক্তে দানা বাঁধার প্রবনতা দেখা দিতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে।

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: