যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা দাবি করছে, ২৫ বছরের মধ্যে মানুষ মঙ্গলগ্রহে পা রাখবে। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ও চিকিৎসাগত সমস্যা সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে পৌঁছনোর আগেই মহাকাশের ক্ষতিকারক রশ্মি নভোচারীর দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে। হাঁড়ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
নাসার সাবেক নভোচারী টম জোনস বলেন, বর্তমান বাজেট দিয়ে সেসব সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। সেসব সীমাবদ্ধতা কাটাতে আরও ২৫ বছর সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে বাজেট অবশ্যই বাড়াতে হবে।
অন্যদিকে বর্তমান রকেট প্রযুক্তিতে মঙ্গলগ্রহ পৌঁছাতে একজন নভোচারীর নয় মাস সময় লাগবে। দীর্ঘ সময় মহাশূন্যে অবস্থানের ফলে রেটিনার রক্ত সঞ্চালন বাধা পাবে। ফলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাবে। শরীর দুর্বল হবে এবং হাঁড়ের ক্যালসিয়াম শুকিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ হলো মঙ্গল। গ্রহটি পৃথিবী থেকে অনেকটা লাল দেখায়। এ কারণে এর অপর নাম লালগ্রহ। পৃথিবীর মতো এর ভূ-ত্বক ও বায়ুমণ্ডল রয়েছে। এর ভূ-ত্বকে রয়েছে চাঁদের মত অসংখ্য খাদ। এছাড়া পৃথিবীর মতো আছে আগ্নেয়গিরি, মরুভূমি ও মেরুদেশীয় বরফ। মঙ্গলে পৃথিবীর মতো ঋতু পরিবর্তনও হয়।