নিজেকে আশাবাদী করে তুলবেন যে পাঁচ উপায়ে

প্রত্যাশা মানুষকে বাঁচতে শেখায়। হতাশা নামক আঁধার থেকে আলো আসতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় ইতিবাচক প্রত্যাশা আমাদের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। মানুষকে করে দীর্ঘজীবী।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রত্যাশা এবং ইতিবাচক মনোভাব আমাদের দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। ২০১৯ সালে প্রসেডিংস অব দ্যা ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সাইন্সেস অব দ্যা ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকা (পিএনএএস) জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।

এতে দেখা যায় আশাবাদী ও ইতিবাচক লোকেরা অন্যান্যদের থেকে ১১-১৫ শতাংশ বেশি দীর্ঘায়ু লাভ করেন। প্রায়শই এইসব লোকেরা ৮৫ বছর বা তার থেকেও দীর্ঘদিন জীবিত থাকেন।

আসুন আমাদের আশাবাদী ও ইতিবাচক করে তুলতে পারে এমন ৫টি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিই-

জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ

বিখ্যাত সাইকোলজিস্ট স্যান জে. লোপেজের মতে, আশাবাদ হলো এমন কিছু যা আপনাকে বিশ্বাস করতে সহায়তা করবে বর্তমানের থেকে আরও সুন্দর ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে এবং সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার সক্ষমতা আপনার রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “এর মাধ্যমে কি হতে চলেছে তার উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এমন অনুভূতি তৈরি হয়, যা আমাদের আত্মবিশ্বাসী ও আরও বেশি আশাবাদী করে তোলে।”

সুসংবাদ খুঁজে বের করুন

সুসংবাদ আমাদের আশাবাদী করে তোলে। জীবনের প্রতি ইতিবাচক হোন এবং আপনার অর্জনগুলি উদযাপন করুন। যেকোনো জটিলতায় মনে করুন অতীতে এরকম অনেক সমস্যা আপনি মোকাবেলা করেছেন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া আমাদেরকে ইতিবাচক ও আশাবাদী করে তোলে। জীবনে যে সব ব্যক্তি বা বিষয়ের প্রতি আপনি কৃতজ্ঞ তা স্মরণ করুন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে পৃথিবীতে এখনও ভাল কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে, যা আমাদের আশাবাদী হতে সাহায্য করে।

দুর্ভাগ্য হিসেবে ভুলে যান

সাইকোলজিস্ট ড. ডায়ানা ব্লিচারের মতে, আপনি যখন কোনও ব্যর্থতা দুর্ভাগ্য হিসেবে মেনে নেবেন এবং ভুলে যাবেন তখন তা আপনাকে আবারও ফিরে আসতে সহায়তা করবে। ইতিবাচক লোকেরা তাদের ব্যর্থতাকে সাময়িক মনে করে এবং দুর্ভাগ্য হিসেবে ভুলে গিয়ে আবারও নতুন উদ্যমে প্রচেষ্টা শুরু করে।

সুন্দর সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন

যেকোনো দুঃসময়ে বিশ্বাস রাখুন যে সুন্দর সময় আসতে চলেছে এবং সে জন্যে অপেক্ষা করুন। সব কিছুই ক্ষণস্থায়ী তাই কোনও সংকটই চিরস্থায়ী হবে না। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: