বর্তমান সময়ের ব্রণ একটি অতি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ত্বকে আর্দ্রতার অভাব, অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার গ্রহণ, বংশগত কারণ সহ নানা কারণেই ত্বকের এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
তবে আশার কথা হলো, বেশ কিছু খাবার ও পানীয় নিয়মিত গ্রহণের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করা যেতে পারে।
আসুন এমন বেশকিছু খাবার ও পানীয় সম্পর্কে জেনে নিই-
অলিভ ওয়েল বা জলপাইয়ের তেল
সাধারণ খাবার তেল অনেক সময় আমাদের ত্বকের ক্ষুদ্র ছিদ্রগুলি বন্ধ করে দিতে পারে এবং এর ফলে ব্রণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একারণেই বলা হয়ে থাকে যে অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার ব্রণের জন্য দায়ী।
কিন্তু অলিভ ওয়েল খাবারের সাথে গ্রহণ করলে তা আমাদের ত্বকের ক্ষুদ্রতম ছিদ্রগুলি বন্ধ করে দেয় না, বরং ত্বকে শোষিত হয়ে যায়। ফলে ত্বক সহজেই নিঃশ্বাস ফেলতে পারে এবং এটি ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
লেবুর রস
নিয়মিত লেবুর রস পান করলে তা দেহের অ্যাসিড সম্পর্কিত বর্জ্য অপসারণ করতে সহায়তা করে। এতে বিদ্যমান সাইট্রিক অ্যাসিড লিভারকে পরিষ্কার রাখে এবং রক্তের বিষাক্ত পদার্থ সমূহ দূর করতে বিশেষ এনজাইম তৈরিতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলিও পরিষ্কার করে, ফলস্বরূপ আমাদের ত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
তরমুজ
ত্বকের দাগ দূর করতে তরমুজ বেশ উপকারী। এটি ভিটামিন এ, বি এবং সি সমৃদ্ধ; যা ত্বককে সতেজ, উজ্জ্বল এবং আর্দ্র রাখে। এটি ব্রণের ফেটে যাওয়া রোধ করে এবং ব্রণের ফলে সৃষ্ট দাগ ও ক্ষত দূর করে।
সুষম খাদ্য
সুন্দর ও সুস্থ ত্বক বজায় রাখার সর্বোত্তম উপায় হলো সুষম খাদ্য গ্রহণ করা। স্বল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারে ভিটামিন এ থাকে যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
পানি
পানি আমাদের দেহেরে অভ্যন্তরে পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহন করে, অঙ্গগুলিকে পুষ্ট, প্রাণবন্ত এবং ব্রণর সাথে লড়াই করার জন্য সুস্থ রাখে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে তা ব্রণের সম্ভাবনা কম করে।
রাস্পবেরি
ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারযুক্ত হওয়ায় রাস্পবেরি ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর। রাস্পবেরি ফাইটোকেমিকায় সমৃদ্ধ যা ত্বকের জন্য প্রতিরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে বিবেচিত।
দই
দইতে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই এটি ত্বক পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের বন্ধ থাকা ছিদ্রগুলি পরিষ্কার করতে বেশ উপকারী।
আখরোট
নিয়মিত আখরোট খেলে ত্বকের মসৃণতা এবং কোমলতা বৃদ্ধি পায়। আখরোটের তেলে লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের গঠন বজায় রাখতে এবং ত্বককে জল পরিপূর্ণ ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে।
আপেল
আপেলে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন থাকে। ব্রণ প্রতিরোধে পেকটিন অত্যন্ত কার্যকর একটি উপাদান। আপেলের খোসাতেও প্রচুর পরিমাণে পেকটিন থাকে, তাই খোসা না ছাড়িয়ে আপেল খাওয়া ব্রণ প্রতিরোধে সহায়ক। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
টাইমস/এনজে