দেশের আইনে অনুযায়ী, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কোনও সুযোগ নেই। এমন মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিএনপির এক সংসদ সদস্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে জামিন দেয়া হয়েছে। এই ৪০১ ধারায় কোনো বিষয় নিষ্পত্তির পর আবার সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি আইন মোতাবেক বলছি। আইনের শাসন রয়েছে দেশে। যত খুশি আমাকে তারা গালি দিক।
এর আগে, গত মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী জানান, খালেদা জিয়ার পরিবার যখন আবেদন করেছেন, তখন সেটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ৪০১ ধারা মোতাবেক, এটি (বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ) আর নতুন করে গ্রহণ করার সুযোগ নেই। আইন সবার জন্য সমান।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারণে উনি (বেগম খালেদা জিয়া) বাড়তি কিছু সুবিধা পাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাকে সঠিক হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি।
ছয় দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে আবার ঢাকায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তির পর রবিবার (১৪ই নভেম্বর) রাত থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেন।অসুস্থতার জন্য টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।
এর আগে এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। পরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ২৭শে এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯শে জুন বাসায় ফেরেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫শে মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়।