ইজিবাইক। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার সাধারণ মানুষের যাতায়াতকে সহজ করার কথা ছিল। কিন্তু এই বাহনটি যাতায়াতকে সহজ করেনি, করেছে জটিল ও দুর্বিষহ। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, পুলিশ ও চাঁদাবাজের কাছে এ বাহন লোভনীয়। প্রতিদিনের লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজির টাকা তাদের দিন বদলাচ্ছে। ভারী হচ্ছে বিভিন্ন মহলের পকেট।
ইজিবাইক খিলক্ষেত ও আশে পাশের এলাকার মানুষের যাতায়াতকে শুধু কঠিনই করেনি, স্থবির করে দিয়েছে জনজীবনকে। ইজিবাইক ও অন্যান্য যানবাহনের ভীড়ে মানুষের হেঁটে চলাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ ছাড়াও স্থানীয় চাঁদাবাজদের নিয়োজিত লাইনম্যানদেরও হিমশিম খেতে হয় রিক্সা ও ইজিবাইকের চাপ সামলাতে। খিলক্ষেতের বিভিন্ন পয়েন্টে এই লাইনম্যানরা লাঠি হাতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
স্থানীয় ইজিবাইক চালক, লাইনম্যান ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, খিলক্ষেতে সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে প্রায় ১২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। প্রতিটি ইজিবাইকের চালকের কাছ থেকে গ্যারেজ মালিক পান ৮০০ টাকা। এই টাকা থেকে তিনি বিদ্যুৎ খরচ বাবদ রাখেন ২০০ টাকা। জিবি বা চাঁদা দেন ১০০ টাকা। এই ১০০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পুলিশের পকেটে এবং বাকী ৩০ টাকা স্থানীয় কিছু সংখ্যক রাজনীতিক, চাঁদাবাজদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে পুলিশ ও প্রভাবশালীদের চাঁদা দিয়ে চলাচল করায় ইজিবাইকের দৌরাত্ম বেড়েছে বহুগুন। ফলে ইজিবাইক চালকরা কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। এসব ইজিবাইকের ব্যাটারি যেখানে চার্জ দেওয়া হয় সেখানে নামকাওয়াস্তে মিটার রয়েছে। মুলত: বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কর্মচারীদের সহায়তায় চোরাই সংযোগে চার্জ দেওয়া হয়। এই এলাকায় অটো রিক্সা বা ইজিবাইকের জন্য অন্তত: ৩০টি গ্যারেজ রয়েছে।
এই ইজিবাইক সিন্ডিকেটের সঙ্গে কারা কিভাবে জড়িত, প্রতিদিন যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, তারা কারা তা জানতে আমাদের মূল ইনভেস্টিগেশন দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে।