তেল-চিনির পর হঠাৎ অস্থির আটা-ময়দার বাজার, সরাসরি..

হঠাৎ করে বাজার থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে আটা ও ময়দা। অনেক দোকানে এখন বেশি দামেও পাওয়া যাচ্ছে না নিত্য প্রয়োজনীয় এ দুইটি পণ্য। তবে যেখানে আটা-ময়দা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। সীমিত আয়ের ও সাধারণ মানুষের পক্ষে এ দামে এ দুইটি পণ্য কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে স¤প্রতি দাম বৃদ্ধির পর নিত্যপণ্যের বাজারে সয়াবিন তেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা ডিলারদের দায়ী করছেন। তারা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ডিলাররা বাজারে কোনো ধরনের বোতলজাত তেল দিচ্ছেন না। যা ছিল এর মধ্যে ৫ লিটারের কিছু বোতল ছাড়া বাকি সব বিক্রি হয়ে গেছে। এখন তাদের কাছে তিন দিন বিক্রি করার যাবে সে পরিমাণ তেল রয়েছে।

সূত্র মতে, গত ১ নভেম্বর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারপরই বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের মূল্য না বাড়লেও তবে সরবরাহ কমে গেছে। কিছু ক্ষেত্রে ক্রেতাদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা ময়দা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এই ময়দার দাম ছিল ৬৮ টাকা কেজি। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে প্যাকেট ময়দার দাম ছিল ৭৭ টাকা কেজি। গতকাল শুক্রবার সেই একই ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি দরে। আর গত সপ্তাহের ৬৮ টাকা কেজি দরের খোলা ময়দা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। টিসিবির হিসাবে গত এক সপ্তাহে খোলা আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

টিসিবির তথ্যমতে, গত এক বছরের ব্যবধানে বাজারে আটার দাম ৭৯ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। টিসিবি বলছে, বছরের ব্যবধানে ময়দার দাম ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। খোলা ময়দার দাম গত বছরের এই সময়ে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে। বাজারে শুধু আটা ময়দাই নয়, আরও কিছু পণ্যের সরবরাহেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

Share this news on: