নিষিদ্ধ হলো সাকার মাছ

সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃনাল কান্তি দে ১১ জানুয়ারি এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর সাকার মাছ নিষিদ্ধ করতে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০–এর ১৮ নম্বর ধারা সংশোধন প্রস্তাব প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে লিখিতভাবে অনধিক দুই মাসের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃনাল কান্তি দেকে জানানোর জন্য বলা হয়।

মন্ত্রণালয়ের ১১ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু, উক্ত প্রাক্‌–প্রকাশনায় উল্লিখিত ২ (দুই) মাস সময় ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হইয়াছে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনের ওপর প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সরকার উক্ত রুলসের অধিকতর সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে।’ এরপর প্রজ্ঞাপনে আইনের ১৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাকার মাছ কোনো ব্যক্তি আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, প্রকাশ ও অধিকারী হতে পারবেন না।
সাকার মাছের ইংরেজি নাম Suckermouth Catfish বা Common Pleco। এই মাছ দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালিয়ে আসছে মৎস্য অধিদফতর। তাদের এক প্রচারপত্রে বলা হয়েছে, সাকার মাছ আশির দশকে ব্রাজিল থেকে অননুমোদিতভাবে বাহারি মাছ হিসেবে প্রথম বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সাকার মাছ নদী–নালা, খাল–বিল ও চাষের পুকুরে চাষ করা মাছের সাথে ব্যাপকভাবে ধরা পড়ছে। যা জীববৈচিত্র্য তথা দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উন্মুক্ত বা বদ্ধ জলাশয়ে পাওয়া গেলে তা বিনষ্ট করতে হবে। সেচের মাধ্যমে জলাশয় পুরোপুরি শুকিয়ে নষ্ট করতে হবে। হ্যাচারিতে প্রজনন বা উৎপাদন করা যাবে না। শোভা বর্ধনকারী মাছ হিসেবে অ্যাকুরিয়ামে পালন বন্ধ করতে হবে। নতুন করে জলাশয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক (অভ্যন্তরীণ মৎস্য) শামীম আরা বেগম জানান, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সাকার মাছ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ প্রজাতির মাছের আমদানি, চাষ ও পরিবহন যেন না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে পিরানহা মাছ এবং ২০১৪ সালে আফ্রিকান মাগুর নিষিদ্ধ করলেও এখনো সেসব প্রজাতির মাছ বিভিন্ন সময় বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায়।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চট্টগ্রামে চেক প্রতারণা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার Dec 22, 2025
img
‘ধূমকেতু’ বিতর্কের পর ফের মুখোমুখি দেব ও শুভশ্রী Dec 22, 2025
img
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের অন্নপ্রাশনে মুখ্যমন্ত্রী! Dec 22, 2025
img
একদিনের ব্যবধানে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ২ লাখ ২২ হাজার Dec 22, 2025
img
সামান্থার বিয়ের গোপনীয়তা নিয়ে কি জানালেন অভিনেতা গুলশান? Dec 22, 2025
img
বাংলায় হাত দিলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা Dec 22, 2025
img
নারীদের লেখা গল্পে আবেগের সত্যতা আলাদা হয় : কৃতিকা কামরা Dec 22, 2025
img

ভারতী

যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোলে মেয়ে না আসে, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব Dec 22, 2025
img
আগরতলা থেকেও বাংলাদেশের ভিসা কার্যক্রম স্থগিত Dec 22, 2025
img
আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন Dec 22, 2025
img
ভূমিকম্পের পর ঢাবির আবাসিক হলের কোনো ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ নয় : কর্তৃপক্ষ Dec 22, 2025
img
মিকি আর্থার আগের বিপিএলের পুনরাবৃত্তি চান না Dec 22, 2025
img
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা ছিল পরিকল্পিত : নাহিদ ইসলাম Dec 22, 2025
img
দেশে ওয়ারফেজের লিগ্যাসি কনসার্ট ট্যুর স্থগিত Dec 22, 2025
img
জন্মদিনে বড় চমকের আভাস দিলেন সালমান খান Dec 22, 2025
img
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে চলবে ২০ স্পেশাল ট্রেন Dec 22, 2025
img
একই মঞ্চে বিউটিকে নিয়ে গাইলেন পান্থ কানাই Dec 22, 2025
img
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় মাঠপর্যায়ে প্রচারণা শক্তিশালী করার নির্দেশনা Dec 22, 2025
img
শ্রীদেবীর সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মাধুরী দীক্ষিত Dec 22, 2025
img
জুলাই অভ্যুত্থানের নামে ‘মব’ সমর্থন করে না এনসিপি : নাহিদ Dec 22, 2025