টিভি-মোবাইলে আসক্ত শিশুর চোখ-কানের যত্নে করণীয়

বিভিন্ন সময়ে শিশুদের সামলাতে হিমশিম খেয়ে যান মা-বাবারা। শিশুর জেদ সামলাতে অনেকেই তাদের হাতে ফোন দিয়ে দেন বা টিভি চালিয়ে দেন। এতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও শিশুর চোখ ও কানে মারাত্মক প্রভাব পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত সময় টিভি ও মোবাইল স্ক্রিনে থাকলে শিশুর চোখে এবং কানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের শিশু বিশেষজ্ঞদের বৃহত্তম পেশাদার সমিতি আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস অনুসারে, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের টিভি বা ফোনের স্ক্রিনে অভ্যস্ত হওয়া মোটেও ঠিক নয়।

এমন পরিস্থিতিতে শিশুর চোখ-কানের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জেনে নিন শিশুর চোখ-কানের যত্ন নেবেন কীভাবে।

চোখের পাতায় হাত বোলানো

অনেকক্ষণ টিভি বা মোবাইল দেখলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। এতে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্ক্রিন ব্যবহার করার সময় শিশুর চোখের পাতায় একবার করে হাত বুলিয়ে দিন। আর যদি শিশুর ড্রাই আইয়ের সমস্যা বাড়তে থাকে, তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়ে ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

স্ক্রিন নির্বাচন​

সমীক্ষায় দেখা গেছে, শিশুরা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ডিভাইস ব্যবহার করলে স্ক্রিনের আকার চোখের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই মোবাইল স্ক্রিনে ছবি যত বড় হবে চোখের ওপর চাপ তত কম পড়বে। এ ক্ষেত্রে শিশু কোনো সিনেমা বা প্রোগ্রাম দেখতে চাইলে ফোন বা ট্যাবলেটের পরিবর্তে টিভির পর্দায় দেখানো তুলনামূলক ভালো। তবে শুধু পর্দার আকারই যে শিশুর চোখকে ক্ষতির হাত থেকে রেহাই দেবে এমনটা ভেবে নেয়ার কোনো কারণ নেই।

ডিভাইসের ভলিউম কমানো

হেডফোন কমবেশি সবারই কানের ক্ষতি করে। তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের হেডফোন না দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু শিশু যদি হেডফোন ব্যবহার করে, তাহলে ভলিউম কমিয়ে দিন। ডিভাইসের ভলিউম লেভেল ৫০ শতাংশ বা তার কম রাখা উচিত। এতে শিশুর কানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

Share this news on: