ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬ সাইক্লোন শেল্টার ও আট হাজার স্বেচ্ছাসেবক। কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার ৫৭৬ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, ৭ মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুত রাখা হয়েছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি শরণার্থী ক্যাম্প রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস প্রধান আবদুর রহমান জানান, মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে গোসল করতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘জেলার ৯টি উপজেলার সব উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রস্তুত রয়েছেন। বিশেষ করে টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় বেশি সতর্ক করা হয়েছে। এসব এলাকায় যাবতীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।’