তিন দিনে বেনাপোল দিয়ে এলো ১২৩ টন কাঁচামরিচ

শের বাজারে হুড়মুড়িয়ে বাড়ছিল কাঁচামরিচের দাম। সব রান্নায় ব্যবহৃত হয় এই পণ্যের দাম প্রতি কেজি হাজার টাকায়ও বিক্রিও হয়। এর জেরে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে গত তিন দিনে যশোরের বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে দেশে এসেছে ১২৩ টন কাঁচামরিচ। বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে পাঁচ ট্রাকে ৩৩ টন ভারতীয় কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এর আগের দিন অর্থাৎ, গত সোমবার ও গত রোববার ৪৫ টন করে কাঁচামরিচ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়। ঢাকা ও খুলনার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানেরা এসব কাঁচামরিচ আমদানি করে নিয়ে আসে।

বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ ভারত থেকে ৩৩ টন কাঁচামরিচ বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। এগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও কয়েক ট্রাক কাঁচামরিচ সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।’

বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ বলেন, ‘জরুরি ও পচনশীল পণ্য হওয়ায় কাঁচামরিচের চালানগুলো প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত খালাসের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। এদিকে প্রতি কেজির বিপরীতে শুল্ক দিতে হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় শূন্য দশমিক পাঁচ মার্কিন ডলার।’

এই রাজস্ব কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, কাঁচামরিচ বাংলাদেশে আসা পর্যন্ত খরচ পড়ে যাবে প্রায় সাড়ে ৭৭ টাকা। 

বেনাপোলের আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, দেশে আসা কাঁচামরিচ তাদের রপ্তানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে। আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহণসহ দুদেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের আরও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। সব মিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম পড়ে যায় ১৫০-১৬০ টাকার মতো।

Share this news on: