গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি এবং গণতন্ত্র অর্জন করেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম)-এর ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে এবং আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সামরিক শাসকরা অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এবং বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল গঠন করে।

২০০৭-৮ সালের সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরতে বাধা দেয়া হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ফিরলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর হুমকি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে জানিয়ে বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি এ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক বলেন, কূটনীতিকসহ সকল অংশীজনের সাথে কথা বলছি এবং সকল অংশীজনের কথা শোনাই লক্ষ্য।

তারা মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না, তারা তাদের ব্যক্তিগত ক্ষমতাবলে এখানে এসেছেন দাবি করে বনি গ্লিক বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর চাই।

এসময় দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ বলেন, গণতন্ত্রের কিছু অন্তর্নিহিত সমস্যা আছে এবং এমনকি সমস্যাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফেনীতে হাতকড়াসহ পালালেন সাবেক বিএনপি নেতা Jul 16, 2025
img
জ্যাকিকে মজা করে যা বললেন ফারাহ খান Jul 16, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণ ও রুপার বাজারদর Jul 16, 2025
img
পুমার সঙ্গে ১ বিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি ম্যানচেস্টার সিটির Jul 16, 2025
img
ফিরে দেখা ১৬ জুলাই: কোটা আন্দোলনে ৬ প্রাণ, উত্তাল গোটা দেশ Jul 16, 2025
যাত্রাবাড়ীর নেতা রাকিব? মুখ খুললেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন Jul 16, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৬১ ফিলিস্তিনি Jul 16, 2025
img
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক কেন নয়, কারণ দর্শানোর নির্দেশ আদালতের Jul 16, 2025
img
দুর্যোগে টেলিকম সংযোগ সচল রাখতে সমন্বিত নীতিমালার সুপারিশ Jul 16, 2025
img
মস্কোতে হামলা চালানো উচিত নয় ইউক্রেনের : ট্রাম্প Jul 16, 2025
img
থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা তৈরি Jul 16, 2025
img
ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও ৬১ জন নিহত Jul 16, 2025
img
১৮ জুলাইকে ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ Jul 16, 2025
img
এএফডব্লিউসি প্রশিক্ষণার্থী অফিসারদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন Jul 16, 2025
img
দুপুরের মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস Jul 16, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে স্কুল-কলেজে পালিত হবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Jul 16, 2025
img
‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ রাষ্ট্রীয় শোক Jul 16, 2025
img
মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ Jul 16, 2025
img
মোটা অঙ্কের বোনাস পাচ্ছেন চ্যাম্পিয়ন চেলসির প্রত্যেক খেলোয়াড় Jul 16, 2025
img
শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা Jul 16, 2025