শীতে সরিষার তেল মাখার জাদুকরী সব গুণের কথা জেনে নিন

যেকোনো ভর্তাই হোক না কেন, সরিষার তেল ছাড়া যেন অসম্ভব। এছাড়াস রিষার তেলের ডিম ভাজা, মুড়ি মাখানো যেন অমৃত। সরিষার তেল খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর। এর পাশাপাশি শরীরে সরিষার তেল ব্যবহারেরও রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ।

বিশেষ করে এই শীতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে মেলে অনেক উপকারিতা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, শীতে সরিষার তেল নানা ধরনের কাজে লাগতে পারে। জেনে নিন তেমনই ৮ উপকারিতা সম্পর্কে-

১। ঠান্ডা লাগে কম

শীতে ঠান্ডায় খুব কষ্ট পান? তাহলে অবশ্যই সরিষার তেলের মালিশ করুন। এতে ঠান্ডা কম লাগে। তার চেয়েও বড় কথা, এর ফলে পেশি মজবুত হয়।

২। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়

শীতকালে সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করলে গোটা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে নানা ধরনের রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শীতে নানা ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ে। সেই আশঙ্কা কমানো যায় এতে।

৩। দাঁতের জন্য ভালো

শীতে সরিষার তেল দিয়ে দাঁত মাজুন। অথবা সরিষার তেল দিয়ে অয়েল পেলিং করুন। শীতে ঠান্ডা লেগে অনেকের দাঁতে ব্যথা হয়। সেই সমস্যা কমাতে পারে এই অভ্যাস।

৪। চুলের জন্য ভালো

সরিষার তেলে অলিক অ্যাসিড এবং লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। এগুলো চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কাজের। এতে চুলের পুষ্টি হয় এবং শীতকালে চুল পড়ার আশঙ্কা কমে।

৫। শক্তি বৃদ্ধি করে

শীতে শরীর দুর্বল হয়ে যায়? কোনো শক্তি পান না? সারাদিন ঝিমুনি লাগে? তাহলে অবশ্যই সরিষার তেলের মালিশ করতে পারেন। তাতে এই ক্লান্তি কাটতে পারে।

৬। গাঁটের ব্যথা কমায়

শীতে গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয় অনেকের। বাতের ব্যথাও বাড়তে পারে এই সময়ে। এই সব ব্যথার অনেকগুলোই কেটে যেতে পারে সরিষার তেলের মালিশে।

৭। ক্ষুধা বাড়ায়

আপনার কি ক্ষুধা কমে যাচ্ছে? কোনো কিছুই খেতে ইচ্ছা করছে না? তাহলেও সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করুন। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, শক্তির মাত্রা বাড়ে। তাতে বাড়তে পারে ক্ষুধাও।

৮। ত্বকের জন্য ভালো

সব চেয়ে বড় কথা, ত্বকের জন্য সরিষার তেল দারুণ উপকারী। যাদের শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তারা অবশ্যই এই তেলের মালিশ করুন। তাতে সমস্যা কমবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফেনীতে হাতকড়াসহ পালালেন সাবেক বিএনপি নেতা Jul 16, 2025
img
জ্যাকিকে মজা করে যা বললেন ফারাহ খান Jul 16, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণ ও রুপার বাজারদর Jul 16, 2025
img
পুমার সঙ্গে ১ বিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি ম্যানচেস্টার সিটির Jul 16, 2025
img
ফিরে দেখা ১৬ জুলাই: কোটা আন্দোলনে ৬ প্রাণ, উত্তাল গোটা দেশ Jul 16, 2025
যাত্রাবাড়ীর নেতা রাকিব? মুখ খুললেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন Jul 16, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৬১ ফিলিস্তিনি Jul 16, 2025
img
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক কেন নয়, কারণ দর্শানোর নির্দেশ আদালতের Jul 16, 2025
img
দুর্যোগে টেলিকম সংযোগ সচল রাখতে সমন্বিত নীতিমালার সুপারিশ Jul 16, 2025
img
মস্কোতে হামলা চালানো উচিত নয় ইউক্রেনের : ট্রাম্প Jul 16, 2025
img
থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা তৈরি Jul 16, 2025
img
ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও ৬১ জন নিহত Jul 16, 2025
img
১৮ জুলাইকে ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ Jul 16, 2025
img
এএফডব্লিউসি প্রশিক্ষণার্থী অফিসারদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন Jul 16, 2025
img
দুপুরের মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস Jul 16, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে স্কুল-কলেজে পালিত হবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Jul 16, 2025
img
‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ রাষ্ট্রীয় শোক Jul 16, 2025
img
মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ Jul 16, 2025
img
মোটা অঙ্কের বোনাস পাচ্ছেন চ্যাম্পিয়ন চেলসির প্রত্যেক খেলোয়াড় Jul 16, 2025
img
শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা Jul 16, 2025