পৌষ শেষে মাঘ শুরু, শীত থাকবে আরও কয়েক দিন

পৌষের শেষ দিকে এসে দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘনকুয়াশা যোগ হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলায় কুয়াশা ভেদ করে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। এমন শীত থেকে সহসা মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শীতের এমন অবস্থার মধ্যে চলে এসে ‘বাঘ পালানোর মাস’ মাঘ।

বছরের সবচেয়ে শীতলতম মাস জানুয়ারিতে বেড়ে যাওয়া শীতের তীব্রতা মাসের বাকি অর্ধেকটা সময় থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তীব্র শীতের সঙ্গে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় রাতে ও ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না নামলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপট কমাতে পারবে না। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশে মেঘ জমতে পারে। অনেক জায়গায় শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বৃষ্টি
চলতে পারে দু–তিন দিন। এরপর শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কিছুটা বাড়বে। তখন দিনে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমে আসবে। তবে রাতে শীতের তীব্রতা এখনকার মতোই থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, শীতের এমন পরিস্থিতি আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। বৃহস্পতি-শুক্রবারে কিছুটা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরে কুয়াশার ভাব কমবে। তাপমাত্রাও কমে শীত কিছুটা বাড়বে। ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

কনকনে ঠান্ডায় সারাদেশের মানুষ কষ্টে আছেন। মানুষের চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্করা কাতর হয়ে পড়ছেন শীতে। বিশেষ করে শীত বাড়ায় কষ্ট বেড়েছে শ্রম ও কর্মজীবী মানুষের।

১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক
যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ সময় সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।

এই সময়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তৈরি পোশাক খাতে কর ছাড়: তুলাসহ কাঁচামালে উৎসে কর শূন্য Jul 18, 2025
img
রংপুরের ‘অর্জন’ ভাস্কর্য থেকে মুজিবের ছবি মুছে দিলেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’ Jul 18, 2025
এই দেশে যত মহান অর্জন, সব বিএনপির হাত ধরেই এসেছে Jul 18, 2025
গোপালগঞ্জে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারফিউ জারি Jul 18, 2025
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে যে চ্যালেঞ্জ দিলেন শিবিরকে! Jul 18, 2025
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ Jul 18, 2025
গোপালগঞ্জে জুলাই যো/দ্ধা/দের উপরে হামলার প্রতিবা/দে বরিশাল জামায়াতের বিক্ষোভ Jul 18, 2025
আমরা মারা গেলে কেউ না কেউ আবার উঠে আসবে: হাসনাত Jul 18, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Jul 18, 2025
‘এনসিপির অপরিকল্পিত কর্মসূচির কারনেই ফ্যাসিবাদী শক্তি হামলা করছে’ Jul 18, 2025
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনা নির্বাচন পেছানোর নতুন ষড়যন্ত্র : ফারুক Jul 18, 2025
img
বিএনপি নেতাকে মালা পরানো সেই পুলিশ কর্মকর্তা গোপালগঞ্জে বদলি Jul 18, 2025
img
মৌসুমী বৃষ্টিতে পাকিস্তান বিপর্যস্ত, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা Jul 18, 2025
img
বিচার বিভাগে সংস্কার থামাতে পারে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা: রেফাত আহমেদ Jul 18, 2025
img
সংবিধান হবে বাংলাদেশের সব নাগরিকের : তাসনিম জারা Jul 18, 2025
img
হাসিনা-মুজিবের সংবিধান বাংলাদেশে আর চলবে না : নাহিদ ইসলাম Jul 18, 2025
img
এত ট্রল সামলে লিটনের ছন্দে ফেরা সহজ ছিল না: নাফিস ইকবাল Jul 18, 2025
img
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দাপুটে শুরু, সাউথ আফ্রিকাকে হারাল ১৩০ রানে Jul 18, 2025
img
বৃষ্টি বাঁচাল রংপুরকে? ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর পরিত্যক্ত ম্যাচ Jul 18, 2025
img
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আম উপহার Jul 18, 2025