ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাংবাদিকের মোবাইল ও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ডরা দুই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গুম করার হুমকি দেয়।
সোমবার বিকেল পৌনে তিনটায় বাড্ডা সাঁতারকুলে হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার বাংলাদেশ টাইমসের সাংবাদিক ইমরান হোসেন জানান , '১০/১২ জন সিকিউরিটির পোশাক পরিহিত লোক লাইভ চলাকালে আমাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে কিল ঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয় পরে মোবাইল ও মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে।
এ সময় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দাঁড়িয়ে এই হামলার নির্দেশ দেন-বলে জানান হামলার শিকার আর একজন সাংবাদিক মিরাজ উদ্দিন।
এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিকিউরিটি গার্ডের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার ওসি ইয়াসিন গাজী জানান, ঘটনার পর আহত দুই সাংবাদিক থানা এসে অভিযোগ দায়ের করে গেছেন। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তদন্ত করে হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন- ওসি।
এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে মারা যায় শিশু আয়ান। ঘটনাটি সারাদেশে আলোড়ন তুললে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর জানা যায়, এ হাসপাতালের কোনো নিবন্ধন নেই। সবশেষ নিবন্ধন না থাকায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।