কোনো ব্যাংকের সঙ্গে এখনই একীভূত না হয়ে নিজেরাই সবল হতে চায় বেসরকারি আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক। এ কারণে ইউসিবির সঙ্গে একীভূত না হওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের এক পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ অবস্থায় একীভূত করার বিষয় চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে হোঁচট খেলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তোপের মুখে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক একীভূতকরণের প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এ কারণে দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ অনেকটাই ভেস্তে যাচ্ছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূতকরণের বিষয় নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারণে আমানত তুলে নিচ্ছে অনেকে। এ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য গত ১৫ এপ্রিল জরুরিভিত্তিতে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়―আপাতত পাঁচ ব্যাংকের বাইরে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণের আবেদন নেয়া হবে না।
এর আগে গত ১৮ মার্চ দুটি ব্যাংক একীভূতকরণের জন্য সমঝোতা চুক্তি করে। যা ছিল একীভূতকরণের প্রথম ধাপ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় রয়েছে, সম্পদ মূল্যায়নে উভয় ব্যাংককে একমত হতে হবে। উভয় ব্যাংক যদি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে মতপার্থক্য দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক মধ্যস্থতাকারী হয়ে সহায়তা করবে।
এদিকে এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক, সিটির সঙ্গে বেসিক ব্যাংক, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক, সোনালীর সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, আট থেকে ১০টি ব্যাংককে একীভূত করা হবে।