অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের মৃত্যু

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি অবশেষে মারা গেছেন।

বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি মারা যান বলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানিয়েছেন।

এর আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় কিন্তু তাতেও কোনো কাজ করছিল না।

নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন।

প্রসঙ্গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতর ওই ছাত্রীর (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা।

গত শনিবার সকালে সোনাগাজী পৌর এলাকার ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী ওই মাদ্রাসা থেকেই আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।

পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত কক্ষ থেকে ছাদে ডেকে নিয়ে কয়েকজন বোরকাপরা নারী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা।

তারা জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে না নেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ তথ্য ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় পুলিশকেও জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ওইদিন বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ১০২ নম্বর কক্ষে ভর্তি করা হয়।

পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। তাকে লাইফসাপোর্ট দেয়া হয়। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক করতে মঙ্গলবার তার অস্ত্রোপচারও হয়। অস্ত্রোপচারের পরও তাকে নিয়ে শঙ্কা কাটেনি চিকিৎসকদের। 

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন।

পরীক্ষার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন অধ্যক্ষ। সেই মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন ওই ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়েছে।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট Dec 25, 2025
img
হোয়াটসঅ্যাপের পর অন্যান্য অ্যাপেও নিষিদ্ধ হতে পারে অ্যাকাউন্ট Dec 25, 2025
img
ঢাকায় পৌঁছালেন তারেক রহমান Dec 25, 2025
img
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পর হুমায়ুন কবীরের হুংকার: ‘অপেক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী’ Dec 25, 2025
img
দেশের রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩২.৭৯ বিলিয়ন ডলার Dec 25, 2025
img
মোস্তাফিজের খেলায় চমক, গোয়েন্দারাও বুঝতে পারছেন না Dec 25, 2025
img
ডিসেম্বরের ২৩ দিনেই দেশে এলো আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স Dec 25, 2025
img
ওপেনএআইয়ে ডিজনির ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ! Dec 25, 2025
যেই ইবাদতকে আমরা আমল মনে করি না। ইসলামিক জ্ঞান Dec 25, 2025
img
বনানীতে সড়কের পাশে নেতাকর্মীদের অবস্থান Dec 25, 2025
img
রোনালদোর সতীর্থকে গোল করিয়ে আল নাসরের বড় জয় Dec 25, 2025
img
সিলেটে পৌঁছে তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট Dec 25, 2025
img
তারেক রহমানের জন্য বিমানবন্দরে প্রস্তুত বুলেটপ্রুফ বাস Dec 25, 2025
img
রাজধানীর রাস্তায় উচ্ছ্বাস, নেতাকর্মীরা বলছেন ‘ঈদের অনুভূতি’ Dec 25, 2025
img
গ্ল্যামারাস লুকে ধরা দিয়েছেন সাদিয়া আয়মান Dec 25, 2025
img
সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে তারেক রহমান Dec 25, 2025
img
শ্রদ্ধার কাজ না পাওয়ায় মুখ খুললেন শক্তি কাপুর Dec 25, 2025
img
নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতি কমানো যাবে না : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Dec 25, 2025
img

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন Dec 25, 2025
img
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে পথে পথে মুখর জনস্রোত Dec 25, 2025