পাচারের অর্থ ফেরাতে সার্বিক সহায়তায় ইতিবাচক আশ্বাস বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের। সেই সাথে, আর্থিক খাতে সংস্কার ও ঋণ সহায়তা নিয়েও পাওয়া গেছে ব্যাপক সাড়া। সংস্থাগুলোর সাথে বৈঠক শেষে এসব জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের তিন শীর্ষ নীতি নির্ধারক। এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর জানান, আগামী ২৬ অক্টোবরের বিশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সহযোগিতার পূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
বিশ্ব অর্থনীতির নানামুখী টানাপোড়েন আর অনিশ্চয়তার এই সময়ে, বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে আইএমএফ বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন সেশনে পরিবেশ, জলবায়ু, সন্ত্রাসী অর্থায়ন, পাচার ও বৈষম্যসহ অসংখ্য বিষয় আলোচিত হয়।
তবে, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট ও নতুন এক বাস্তবতায়, বাংলাদেশের জন্য এবারের সভা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যা ধারাবাহিক বৈঠকে তুলেও ধরছেন অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে কয়েক সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সংস্থাগুলোর অবদান তুলে ধরে নতুন সহযোগিতা চাওয়া হলে, তাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে।
নতুন অর্থায়ন ছাড়াও, দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে নিতে বিশেষ সহযোগিতার কথা প্রতিটি বৈঠকে তুলে ধরছে বাংলাদেশ। সামনে আসছে ভেঙে পড়া আর্থিক খাত চাঙ্গা করতে, সংস্কার ও কারিগরি পরামর্শের বিষয়টিও। যাতে বড় দুই ঋণদাতা সংস্থাও সম্মত হয়েছে।
সাংবাদিকদেরকে অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর জানান, সভার শেষ দিনে বহুপক্ষীয় বৈঠকে, নিজেদের চাওয়া আরও জোরালোভাবে তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
এবারের সভায় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অন্তত ৪ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার কথা আলোচিত হলেও, তা পরিষ্কার করতে নারাজ বাংলাদেশ।