৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাইয়ে জামায়াত, যেকোনো দলের সঙ্গে জোটের প্রস্তুতি

আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি আছে জামায়াতে ইসলামীর।এমনটাই জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল, মিয়া গোলাম পরোয়ার। তিনি বলেন, সারাদেশে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা। তবে যেকোনো দলের সঙ্গে জোট করতে প্রস্তুত দেশের স্বার্থে। 

১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২টি আসনে এককভাবে প্রার্থী দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর পরের নির্বাচনেই ২৭২টি আসনে দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলটি।

এর পরের দুটি নির্বাচন জোটগতভাবে অংশ নিলেও ২০১৩ সালের ১ আগষ্ট দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এর ৫ বছর পর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

তবে ৫ আগস্টের পরেই বদলে যায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট। অনেকটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে প্রকাশ্য কার্যক্রম শুরু করে জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াই। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জানান, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুত তার দল।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এখন নির্বাচন একটা হবে, সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটাকে আমরা একটু গুছিয়ে নিয়েছি। আমাদের এ সংক্রান্ত কমিটিগুলোর বৈঠক শুরু হয়েছে। জেলাগুলোকে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছি। আমাদের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া, আগে যারা প্রার্থী ছিলেন অনেকে ইন্তেকাল করেছেন। সেখানে নতুন প্রার্থী যোগ-বিয়োগ এসব প্রক্রিয়া আমরা শুরু করছি। সারাদেশে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবার প্রস্তুতি ইনশাআল্লাহ আমাদের আছে। 

এরইমধ্যে জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা চলছে অন্যান্য সমমনা ইসলামী দলগুলোরও। তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক সেই সমীকরণটা কেমন হবে তা খোলাসা করেননি মিয়া গোলাম পরওয়ার।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন যে দেশ গঠনের জন্য যেকোনো দল বা জোটের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে রাজি আছি। তবে জামায়াতে ইসলামী সব দলের সঙ্গে কথা বলছে, আলাদা আলাদ বলছে, কালেক্টিভলি বলছে। আমরা আমাদের মতামত দিচ্ছি ওনারা ওনাদের মতামত দিচ্ছেন। প্রত্যেকের মধ্যেই আন্তরিকতা ও সহযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ইসলাম ও রাষ্ট্রের প্রশ্নে ইসলামী দলগুলোর একই প্লাটফর্মে থাকা উচিত বলে মনে করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমার কাছে মাঝে মধ্যে মনে হয়, সরকার আছে নাকি নেই : রাশেদ খান Sep 18, 2025
img
৭ কলেজ ইস্যুতে ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা Sep 18, 2025
img
দেশের মিডিয়া এখনও নিয়ন্ত্রিত : নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
আমাকে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল: নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড Sep 18, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি Sep 18, 2025
img
ঢাকায় ফ্রান্স চালু করল অত্যাধুনিক ভিসা সেবা কেন্দ্র Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর অচল : নিলোফার মনি Sep 18, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল Sep 18, 2025
img
ফিরেছে নেহাল, স্কোয়াডে নেই আরিফিন Sep 18, 2025
img
সৌদির নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র নয়, প্রধান সঙ্গী এখন পাকিস্তান Sep 18, 2025
img
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের গোপন মিশন : রনি Sep 18, 2025
img
পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি নিয়ে ভারতের বার্তা Sep 18, 2025
img
কলকাতার বাজারে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ Sep 18, 2025
img
কথা রাখলেন যোগী আদিত্যনাথ, দিশার বাড়িতে হামলাকারী ২ জন নিহত Sep 18, 2025
img
মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ Sep 18, 2025
img
গ্রামে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম রাখা উচিৎ : আরশ খান Sep 18, 2025
img
কষ্টার্জিত জয়ে আমিরাতকে হারিয়ে আবারও পাকিস্তান অধিনায়কের হুঙ্কার Sep 18, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের শাস্তি চাইলেন নাহিদ Sep 18, 2025
img
অবশেষে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে এইচবিও ম্যাক্স Sep 18, 2025