২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩০৬

রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩০৬ জন। এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহী রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১৪ জনে।

রোববার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ২ জন নারী। তাদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং দুজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৫৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৭৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৪৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩১ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৭ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩১৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে মোট ৬০ হাজার ৪৫ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথমদিন থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৩১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৭১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায়। ডিএসসিসিতে মশাবাহিত রোগটিতে চলতি বছর মোট ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগে ৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩১ জন, খুলনা বিভাগে ১৯ জন, ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা এবং রাজশাহী বিভাগে একজন করে মোট দুজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমার কাছে মাঝে মধ্যে মনে হয়, সরকার আছে নাকি নেই : রাশেদ খান Sep 18, 2025
img
৭ কলেজ ইস্যুতে ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা Sep 18, 2025
img
দেশের মিডিয়া এখনও নিয়ন্ত্রিত : নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
আমাকে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল: নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড Sep 18, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি Sep 18, 2025
img
ঢাকায় ফ্রান্স চালু করল অত্যাধুনিক ভিসা সেবা কেন্দ্র Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর অচল : নিলোফার মনি Sep 18, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল Sep 18, 2025
img
ফিরেছে নেহাল, স্কোয়াডে নেই আরিফিন Sep 18, 2025
img
সৌদির নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র নয়, প্রধান সঙ্গী এখন পাকিস্তান Sep 18, 2025
img
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের গোপন মিশন : রনি Sep 18, 2025
img
পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি নিয়ে ভারতের বার্তা Sep 18, 2025
img
কলকাতার বাজারে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ Sep 18, 2025
img
কথা রাখলেন যোগী আদিত্যনাথ, দিশার বাড়িতে হামলাকারী ২ জন নিহত Sep 18, 2025
img
মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ Sep 18, 2025
img
গ্রামে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম রাখা উচিৎ : আরশ খান Sep 18, 2025
img
কষ্টার্জিত জয়ে আমিরাতকে হারিয়ে আবারও পাকিস্তান অধিনায়কের হুঙ্কার Sep 18, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের শাস্তি চাইলেন নাহিদ Sep 18, 2025
img
অবশেষে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে এইচবিও ম্যাক্স Sep 18, 2025