মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে আমেরিকার প্রথম লাতিনো শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে নিযুক্ত হবেন ফ্লোরিডায় জন্ম নেয়া এই রাজনীতিবিদ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কয়েকটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় সম্ভবত সবচেয়ে কঠোর পররাষ্ট্রনীতি সমর্থনকারী প্রার্থী ছিলেন রুবিও। বহু আগে থেকেই আমেরিকার ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন চীন, ইরান ও কিউবার বিষয়ে তিনি শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

তবে গত কয়েক বছরে তিনি তার কিছু অবস্থানকে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্য করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের ব্যয়বহুল ও অকার্যকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং একটি সংযত পররাষ্ট্রনীতির কথা বলে আসছেন।

তবে ২০১৭ সালের চেয়ে এবার পুরো বদলে যাওয়া একটি বিশ্ব পাচ্ছেন ট্রাম্প। এই সময়টা আগের চেয়ে বেশি অস্থির ও বিপজ্জনক। ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে চীন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রুবিওর জন্য ইউক্রেন সংকট একটি বড় হিসেবে এজেন্ডা হবে। ৫৩ বছর বয়সী রুবিও সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত এক দশকে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে তা পুনরুদ্ধারে জোর না দিয়ে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে মনোযোগী হওয়া। গত এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটরের একজন ছিলেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বর মাসে এনবিসিকে রুবিও বলেন, আমি রাশিয়ার পক্ষে নই। কিন্তু বাস্তবতা হলো ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হওয়ার উপায় হলো একটি আলোচনাভিত্তিক সমাধান।

১৯৬২ সালে রুবিওর দাদা কিউবা থেকে পালিয়ে আমেরিকা আসেন। তিনি কিউবা সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের কঠোরবিরোধী। আর ট্রাম্পও এই অবস্থান সমর্থন করেন। তিনি লাতিন আমেরিকা বিষয়ক হাউস উপকমিটির প্রধান এবং ভেনেজুয়েলার নিকোলাস মাদুরো সরকারের কট্টর সমালোচক।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ Sep 15, 2025
img
ভারী বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা Sep 15, 2025
img
পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন উন্মুক্ত হচ্ছে আজ Sep 15, 2025
img
কক্সবাজার স্টেডিয়ামে ভাঙচুর : ছাত্রদল নেতাসহ ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Sep 15, 2025
img
ধানের শীষই দেশের মানুষের মুক্তির পথ : আফরোজা খানম Sep 15, 2025
"বাংলাদেশকে মেনে নিয়ে আমরা রাজনীতি করছি" Sep 15, 2025
"দলের ঊর্ধ্বে উঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আমরা আশাবাদী" Sep 15, 2025
যেভাবে শুরু হয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা, জানালেন আলী রিয়াজ Sep 15, 2025
একদিনে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি, চলবে আরও ৫ দিন Sep 15, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Sep 15, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Sep 15, 2025
"জাতীয় সনদ নয়, নাম হতে হবে জুলাই সনদ" Sep 15, 2025
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে বললেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
আমরা জোর দিয়ে বলেছি, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে Sep 15, 2025
বিএনপির ঐকমত্য হওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ Sep 15, 2025
হতাশা আর কত? লিটন দসের অফফর্ম নিয়ে ভক্তদের ক্ষোভ! Sep 15, 2025
img
সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ আটক ৩ Sep 15, 2025
img
মাগুরার সাবেক এমপি শিখরের ভাই ৩ দিনের রিমান্ডে Sep 15, 2025
img
তারেক রহমানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির দেশে আসছেন আজ Sep 15, 2025
img
গণতন্ত্রের শক্তি জনগণ থেকেই আসে : তারেক রহমান Sep 15, 2025