নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, যুবক গ্রেপ্তার

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকালে মাইজদী শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সুধারাম মডেল ওসি আনোয়ার হোসেন।

গ্রেপ্তার হৃদয় হোসেন (৩০) নোয়াখালী জেলা শহরের পূর্ব লক্ষ্মীনারায়ণপুরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

ওসি আনোয়ার মামলার বরাত দিয়ে জানান, ওই ছাত্রী বিগত কয়েক মাস থেকে অভিযুক্ত হৃদয়ের ছোট বোনকে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতো। ২ মার্চ রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ানোর পর ওই বাড়ি থেকে হাউজিং আবাসিক এলাকায় ফিরছিলেন ছাত্রীটি। এ সময় ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে হৃদয় ছাত্রীটিকে তার মোটরসাইকেলে উঠার প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীটি এতে রাজি না হলে হৃদয় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এক পর্যায়ে তাকে মাথায় আঘাত করে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।

ওসি আরও জানান, এতে ছাত্রীটি মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হয়। এরপর তাকে ৯ মার্চ পর্যন্ত মাইজদী ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার বাড়ি সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া গ্রামে। মাইজদী হাউজিং আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি।

ওসি জানান, সুস্থ হয়ে ফিরে এসে ওই ছাত্রী মঙ্গলবার দুপরে বাদী হয়ে হৃদয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। বিকালে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মমিনুল হক জানান, যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার ও বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ তাকে সহযোগিতা করেছে। ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অপরাধীকে তার শাস্তি পেতেই হবে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: