গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে দেওয়া বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায়ও সাকিব আল হাসান ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে সেই পরীক্ষার ফলাফল জেনেছে বিসিবি। গতকাল গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বিষয়টি জানান। প্রধান নির্বাচক এমন ফলাফলকে বলেছিলেন ‘ভেরি শকিং’। যার ফলে সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়ে বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আগামী ১২ জানুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রাথমিক স্কোয়াড জমা দেওয়ার শেষ সময়। সাকিব আল হাসান যদি বোলিং অ্যাকশন নিয়ে এরইমাঝে সবুজ সংকেত না পেয়ে থাকেন, তবে তাকে স্কোয়াডে দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সাকিব আল হাসানকে দলে রাখা না রাখার ব্যাপারে বোর্ডের কোনো নির্দেশনা পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেন, সাকিবের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন, সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, এটা বিস্ময়কর। যদিও সাকিব নিয়ে এখনই আশা ছেড়ে দেননি বিসিবির প্রধান নির্বাচক।
এর আগে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রায় ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার পেলেন এমন নিষেধাজ্ঞা। এরপরেই সব ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেটে বন্ধ হয়ে যায় সাকিবের বোলিং।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জানুয়ারি আইসিসির কাছে প্রাথমিক স্কোয়াড পাঠাতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকা দলগুলোকে। যদিও ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দলগুলো নিজেদের স্কোয়াডে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন আনতে পারবে। তবে এরপর থেকে কোনো পরিবর্তন আনতে হবে আইসিসির টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতি দরকার হবে।