রান্নাঘরের এলপিজি এবার যাচ্ছে শিল্পকারখানায়। শিল্পের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি ব্যবহারের চিন্তা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশে তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় নতুন এই চিন্তা সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে। সম্প্রতি শিল্পে গ্যাসের দাম, এক ধাপে অনেকটা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
দাম বাড়ানো হলেও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পাওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয় প্রকাশ করেছে খাত সংশ্লিষ্টরা। হাইড্রোকার্বন ইউনিট সূত্র বলছে, শিল্পে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি ব্যবহার করার বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। অংশীজন বা স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সরকার নীতিমালাটি অনুমোদন করলে শিল্পে এলপিজি ব্যবহার শুরুর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে, দেশে সব মিলেয়ে ৪ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। যার বিপরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস। অর্থাৎ দৈনিক ঘাটতি রয়েছে ১ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এমন বাস্তবতায় চাইলেও গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে পারবে না সরকার।
তবে, বাড়তি দামে হলেও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ চাচ্ছে শিল্প মালিকরা। সঙ্গত কারণেই প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে এলপিজির সংস্থান করা গেলে তা দিয়েও শিল্প কারখানা চলতে পারে বলে মনে করছে সরকার। শিল্পে এলপিজি ব্যবহারের নীতিমালার খসড়া শেষে অংশীজনের মতামত নিয়ে সরকারের কাছে জমা দিয়েছে হাইড্রোকার্বন ইউনিট।
বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ব্যবহৃত এলপিজির পরিমাণ প্রায় ১৮ লাখ টন। এর মধ্যে এতদিন ১৫ শতাংশ শিল্পে ব্যবহার হলেও কোনও সরকারি নীতিমালা ছিল না। আগামীতে সরকারি নীতিমালা থাকলে এলপিজি আরও বেশি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এতে করে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিএ/