এবারের রমজানে সরকার সুলভ মূল্যে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি করবে না সরকার। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দাবি, তাদের সক্ষমতা এবং পূর্বের বিতর্কের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে বাজারে মাংসের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং ভোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য দাবি তুলেছেন। মাংস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও জানাচ্ছে যে, যদি সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তারা সরবরাহ দিতে প্রস্তুত থাকবে।
২০১৯ সালের পর থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রমজান মাসে সুলভ মূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছিল, যেখানে বাজারমূল্যের তুলনায় অনেক কম দামে ভোক্তারা দুধ, ডিম এবং মাংস পেয়েছেন। গত বছর রাজধানীর ২৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ফ্রিজিং ভ্যানে এবং পাঁচটি বাজারের দোকানে প্রতিদিন ৪,০০০ থেকে ৪,৫০০ কেজি মাংস বিক্রি করা হয়েছিল।
এদিকে সরবরাহকারীরা বলছেন, যেহেতু মুরগির মাংসের জন্য ফ্রিজিং ব্যবস্থা থাকাছেই, তখন গরু ও খাসির মাংস বাদ দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। তারা দাবি করছেন যে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, তারা মাংস সরবরাহ করতে প্রস্তুত থাকবে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে গরুর মাংসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। দুধ ও মুরগির মাংস বিক্রির জন্য ফ্রিজার ভ্যান ব্যবহৃত হওয়া সত্ত্বেও, গরু ও খাসির মাংস সরবরাহ না করলে তাদের আগের খরচ বহন করতে হবে। তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি, তবে তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, এবারের রমজানে সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ এবং মুরগির মাংস বিক্রি হবে, এবং মাছও সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি গরু ও খাসির মাংস বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে যে মাংস সরবরাহ করা হতো, তা এবার সরবরাহ করা হবে না। গত বছরের মাংস বিক্রি নিয়ে অনেক সমস্যা হয়েছিল, এজন্য মন্ত্রণালয় উদ্বিগ্ন যে, যদি গরু ও খাসির মাংস নিরাপদে সরবরাহ করা না গেলে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
টিএ/