আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে ইতিবাচক অগ্রগতি না হলে আবারো আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সরকার পদক্ষেপ নেবে- এমন আশ্বাসে আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের ১২ শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কলেজের অধ্যক্ষসহ তিন অধ্যাপক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই যুগ্ম সচিব এবং গুলশান জোনের উপপুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ ইস্যুতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমন আশ্বাসে আমরণ অনশনও ভেঙেছেন শিক্ষার্থীরা। রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান এবং তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডলের উপস্থিতিতে তারা অনশন ভাঙেন। এ সময় অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের প্যাকেটজাত আমের জুস খাওয়ান অধ্যক্ষ।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মুখে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এদিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করার পর মহাখালী রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সোমবারও রাজপথে সরব ছিলেন। ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’র অংশ হিসেবে মহাখালীর রেললাইন অবরোধ করেন। বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজের ফটক থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীতে যান।
শেষ পর্যায়ে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য ৭ দিনের সময় নেওয়ার ব্যাপারে এটা স্পষ্ট যে সরকারের উপর শিক্ষার্থীদের চাপ বেড়ে যাচ্ছে এবং এই চাপের মুখে সরকার তাদের দাবির প্রতি নমনীয় হয়ে উঠছে, যদিও এই দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
টিএ/