ভারতের গাফিলতির কারনে হিলিতে কমেছে আমদানি–রপ্তানি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দিন দিন কমে আসছে আমদানি-রপ্তানিবাণিজ্য। এই স্থলবন্দর দিয়ে এক সময় প্রতিদিন ফলসহ বিভিন্ন আমদানি পণ্য নিয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক প্রবেশ করতো। চিত্র বদলে এখন প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। আমদানি কিছুটা হলেও রপ্তানি একবারে তলানিতে নেমেছে। এজন্য ভারতের কাস্টমসের গাফিলতিকে দায়ি করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা।

১৯৮৬ সালে সরকার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য হিলিকে শুল্কস্টেশন হিসেবে ঘোষণা করে। দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে অনেক পণ্যই আমদানি করতে হয় পাশের দেশ ভারত থেকে। আর এক্ষেত্রে দেশের সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর হিসেবে গুরুত্ব পায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর। শুরুর দিকে বিভিন্ন ফল ও যানবাহনের যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি হতো। কিন্তু অদৃশ্য কারণে বর্তমানে সামান্য কিছু ভোজ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং গোখাদ্য আমদানি হচ্ছে এ স্থলবন্দর দিয়ে।

হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, কিছু দিন আগে এ স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি হলেও তা এখন বন্ধ রয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের জায়গা তিন স্তরে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বন্দরে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ ট্রাক লোডিং-আনলোডিং করার সুবিধা রয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নের পরও এ বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। আমদানি বাণিজ্য কমে আসায় কমেছে বন্দরের আয়ও। অনেক আমদানিকারক পণ্য আমদানি করতে না পারায় বকেয়া টাকা তুলতে পারছেন না।

বাংলাহিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর ব্যাংকগুলো চাহিদা মতো এলসি না দেওয়ার কারণে আমদানি-রপ্তানিতে প্রভাব পড়েছে। এতে করে বন্দরের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। কর্তৃপক্ষের সুনজর পড়লে আমদানি-রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে এ স্থলবন্দর। এতে অনেক ক্ষেত্রে পরিবহণ ব্যয় কম এবং আমদানি করা পণ্যের দাম কমবে এমনটাই মনে করছেন ব্যবসায়ীসহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা। তবে দ্রুত সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি। 

হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানিকৃত সব পণ্য ছাড়করণে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে বর্তমানে কিছুটা আমদানি-রপ্তানি কমেছে। ভারতের ভেতরে কোয়ারেন্টাইন অফিস না থাকার কারণে বাংলাদেশ থেকে পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। 

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ শুরু Sep 18, 2025
img
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দিলেন মোদি Sep 18, 2025
img
করণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন কাজল কন্যা, মা বললেন ‘সিদ্ধান্ত ওর’ Sep 18, 2025
img
মনে হচ্ছে, লন্ডন থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে : গোলাম মাওলা রনি Sep 18, 2025
img
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০০ পরিবারের পাশে বাংলাদেশি সেবা সংস্থা Sep 18, 2025
img
নতুন ছবিতে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করবেন স্বস্তিকা, রেখেছে শর্ত Sep 18, 2025
img
উৎসবমুখর পরিবেশে এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: ডিএমপি কমিশনার Sep 18, 2025
img
একদিনে ডেঙ্গুতে ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৭ Sep 18, 2025
img

সৌদি-পাকিস্তান চুক্তি

প্রতিরক্ষা চুক্তি ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোনো উপায় নেই : আসিফ নজরুল Sep 18, 2025
img
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল মিশা সওদাগরের মৃত্যুর গুজব Sep 18, 2025
img
ইসি সচিবালয় ও নির্বাচন কর্মকর্তা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন Sep 18, 2025
img
অনুষ্কার অরুন্ধতী ফিরছে নতুন রিমেকে, থাকছে শ্রীলীলা Sep 18, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় নাহিদ ইসলামের পরবর্তী জেরা রোববার Sep 18, 2025
img
নির্বাচনে অবহেলা করলে জবাবদিহি: প্রেস সচিব Sep 18, 2025
img
সেই ফেলানীর ছোট ভাই যোগ দিলেন বিজিবিতে Sep 18, 2025
img
মাত্র ৭ মাসেই বিবাহ বিচ্ছেদ! Sep 18, 2025
img
অজনপ্রিয় সরকার যেকোনো সময়ই অজুহাত তৈরি করতে পারে: মাসুদ কামাল Sep 18, 2025
img
দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে কৃষিখাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে: গভর্নর Sep 18, 2025
img
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ৩১ অক্টোবর : ইসি সচিব Sep 18, 2025
img
হোমবাউন্ড ট্রেলার প্রকাশ, তুলে ধরা হয়েছে বন্ধুত্ব ও সমাজের প্রভাবের গল্প Sep 18, 2025