আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কর্তব্যরত অবস্থায় মারণাস্ত্র ব্যাবহারের পরিবর্তে বডি ক্যামেরা রাখার প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকেরা। জুলাই অভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে ছাত্র-জনতার হতাহতের ঘটনার অভিজ্ঞতায় মারণাস্ত্র ও ছররা গুলির ব্যবহার নিষিদ্ধের এই প্রস্তাব তারা করেছেন।
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনকে সামনে রেখে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দু রশীদ।
ডিসিদের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয় আছে। কিছু কিছু বিষয় শক্তভাবে বলা আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মোবাইল কোর্ট নিয়ে যথেষ্ট বিভ্রান্তি আছে। তর্ক-বিতর্ক আছে। একটি মামলাও বিচারাধীন আছে। মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর বিধিমালা তৈরির একটা প্রস্তাব আছে। এটা যুযোপযোগী করা দরকার। এটার বিধিমালার দরকার।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের কর্তব্যরত অবস্থায় বডি ক্যামেরা রাখার প্রস্তাব আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মারণাস্ত্র ও ছররা গুলি ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব আছে। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় এখনো অনেকে কাতরাচ্ছে। এত আক্রমণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আর কখনও এর আগে দেখা যায়নি। বহু মানুষ চোখ হারিয়েছেন, বহু মানুষ তাদের চেহারা হারিয়েছেন, বহু অল্প বয়সী ছেলে-মেয়ে পা হারিয়েছে, হাত হারিয়েছে।
তিনি আরও জানান, কোনো কোনো জায়গায় জেলা প্রশাসকরা অনুভব করেছেন যে, একটা র্যাপিড রেসপন্স টিম জেলা প্রশাসকের সাথে থাকা উচিত। যাতে দৌড় দিয়ে বের হয়ে যায়। কোনো কোনো ইউএনও সাহেবকে দেখেছেন, ভদ্র মহিলা দৌড় দিয়ে মবের মধ্যে দিয়ে গিয়ে দুই দলের মারামারি হচ্ছে, থামিয়েছেন। এরা যদি খালি হাতে যায় তাহলে বিপদে পড়তে হয় অনেক সময়। তাদের ব্যক্তিত্ব এবং উপস্থিতি অনেক সময় কাজে দেয়। কিন্তু তারপরও তারা একটা র্যাপিড রেসপন্স টিম সাথে রাখতে চাইছেন, প্রস্তাব করেছেন।
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি চেয়েছেন। এরকম আরও কিছু বিষয় আছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।