আমিরাতে ডক্টর ইউনূসের যতো বৈঠক ও সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশের শ্রমিকদের শ্রম ব্যবহারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডক্টর ইউনুস। তিনি বলেছেন, "বাংলাদেশের স্বল্প খরচের শ্রম ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্পগোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশকে হালাল পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে পারে।" তার এ এ প্রস্তাবের পর আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, "তিনি আগামীতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান, যাতে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।" সম্প্রতি আরব আমিরাত সফরে এমনই আলাপ হয় ডক্টর ইউনুস ও দেশটির বানিজ্যমন্ত্রীর মধ্যে। 

ডক্টর ইউনুস সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। তিনি ওয়ার্ল্ড গভমেন্ট সামিটে যোগদান ছাড়াও আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা প্রবাসীদের মধ্যেও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। 

প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুসের সফরের অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা। সফরকালে ডক্টর ইউনুস সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ডক্টর আহমেদ বেলহুল আল ফালাসি সহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ-আমিরাত সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়, যার মধ্যে ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম বন্দরে আমিরাতের ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পরিকল্পনা, এবং ক্রীড়া ও শিক্ষা সম্পর্ক উন্নয়ন।

এছাড়া, ডক্টর ইউনুস আমিরাতের কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য জোরালো আহ্বান জানান। তিনি একইসাথে আমিরাতের কোম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের জন্য আহ্বান জানান এবং আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জাইদীর প্রস্তাবে সম্মত হয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ শিল্প পার্ক স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি প্রদান করেন।

ডক্টর ইউনুসের এই সফরটি বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্দেশনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই সফরের পর বাংলাদেশ এবং আমিরাতের মধ্যে নতুন বাণিজ্যিক সুযোগ তৈরি হতে পারে, পাশাপাশি বাংলাদেশে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করল নিউজিল্যান্ড Jul 17, 2025
img
সূর্যসন্তানদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ: জাহিদ এফ সরদার সাদী Jul 17, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রসহ ৬ দফা দাবিতে জুলাই ঐক্যের কফিন মিছিল Jul 17, 2025
img
মুক্তি পেল ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র ট্রেলার, কবে আসছে এই ছবি? Jul 17, 2025
img
গুটখা খেতে দেখে পাপারাজ্জিকে ধমক দিলেন শিল্পা শেট্টি! Jul 17, 2025
img
জুলাই আন্দোলনে মূল ভূমিকা ছিল তারেক রহমানের: টুকু Jul 17, 2025
img
নীলফামারী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে অবরোধের মুখে ২ উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
টেকসই আর্থিক কার্যক্রমে শীর্ষে ১০ ব্যাংক ও ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান Jul 17, 2025
img
অ্যাতলেটিকোয় যোগ দিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার থিয়াগো আলমাডা Jul 17, 2025
img
'নিজের এবং দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল'- সিরিজ জয়ের পর লিটন Jul 17, 2025
img
কক্সবাজারে আহত ছাত্রদল নেতা অভির পাশে বিএনপি Jul 17, 2025
img
১৬ জুলাইতেই কেন এনসিপিকে গোপালগঞ্জে যেতে হল?- প্রশ্ন মাসুদ কামালের Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ আরেক যুবক ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় সিলেটে এনসিপির ব্লকেড কর্মসূচি Jul 17, 2025
img
মেহেদীর বোলিংয়ের প্রশংসা করলেন আসালাঙ্কা Jul 17, 2025
img
সড়কে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ Jul 17, 2025
img
কলম্বোতে মেহেদীর খেলার বিষয়টি আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন লিটন Jul 17, 2025
img
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে, তাঁর বাবা এ বিচার দেখে যেতে পারবেন: আইন উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং Jul 17, 2025