যেমন সাংবাদিকতার কথা বললেন প্রেস সচিব

গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে একদল সাংবাদিক নিজেদের সুবিধার জন্য দালালি করেছে। তারা স্বৈরাচারকে বৈধতা দেওয়ার জন্য বয়ান তৈরি করেছে এবং মানুষের অধিকার হরণে ভূমিকা রেখেছে। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় চলছে, এবং এখন দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক সাংবাদিকতা করার সময় এসেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’ প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাড়াও গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সাংবাদিকদের একটি দল নিজেদের সুবিধার জন্য দালালি করেছে। প্রতিটি দালালির ঘটনা নথিভুক্ত হয়ে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “২০০৯ সাল থেকে বড় বড় ঘটনার সময়েও ফেইসবুকে একটি বড় গ্রুপ এবং সাংবাদিকদের একটি অংশ বয়ান তৈরি করত। তারা ঘটনাগুলোকে বৈধতা দিত এবং মানুষের অধিকার হরণ করত। মানুষকে মারার বৈধতা দেওয়া হতো।”

শফিকুল আলম উল্লেখ করেন যে, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পেত। তিনি বলেন, “মেধা বা সাংবাদিকতার দক্ষতা নয়, বরং ব্যক্তির রাজনৈতিক মতাদর্শই ছিল নিয়োগের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। এজন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করত।”

তবে তিনি সব সাংবাদিককে দায়ী করেননি। শফিকুল আলম বলেন, “এই গণ-অভ্যুত্থানে পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন এবং মানসিক আঘাতগ্রস্ত রয়েছেন। অনেক পত্রিকা ও সাংবাদিকের ভালো ভূমিকা ছিল। তারা স্বৈরতন্ত্রের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্যিকারের সাংবাদিকতা করেছেন।”
বিগত সরকারের সময়ে সাংবাদিকতার ওপর গবেষণা করার আহ্বান জানান তিনি। শফিকুল আলম বলেন, “গবেষণা বেসরকারি উদ্যোগে করা উচিত, যাতে এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এখন স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বপূর্ণ সময় চলছে। নতুন বাংলাদেশে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক সমালোচনার সাংবাদিকতা করতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ সমালোচনা করা যাবে। প্রতিটি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে।”

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করল সরকার Sep 18, 2025
img
ইসলামী দলগুলোও শেষ পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে থাকবে না : জাহেদ উর রহমান Sep 18, 2025
চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা Sep 18, 2025
‘রক্তবীজ ২’ ট্রেলারে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, বিতর্কে হাসিনার চরিত্র Sep 18, 2025
গোল-অ্যাসিস্ট দুটোই ৬ মিনিটে! সালাহর ঐতিহাসিক রাত Sep 18, 2025
যেসব জায়গায় নামাজ পড়া নিষেধ Sep 18, 2025
img
জলবায়ু পরিবর্তন শুধু পরিবেশগত সমস্যা নয়, অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ : রিজওয়ানা Sep 18, 2025
img
শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান Sep 18, 2025
img
আগামীকাল ৭ বিভাগে জামায়াতের কর্মসূচি Sep 18, 2025
img
সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করতে হবে : শাহজাহান Sep 18, 2025
img
জাপা নিষিদ্ধ করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই : রাশেদ প্রধান Sep 18, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি Sep 18, 2025
img
এক বছর ধরে সংস্কারপ্রক্রিয়া চললেও সমাধানে পৌঁছাতে পারছে না : মঈন খান Sep 18, 2025
img
নির্বাচনে অংশ নিলে তামিম ক্রিকেট ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন Sep 18, 2025
img
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হবে চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর Sep 18, 2025
img

মির্জা ফখরুল

আলোচনা চলা অবস্থায় ইসলামি দলগুলোর কর্মসূচির অর্থ ‘অহেতুক চাপ সৃষ্টি’ করা Sep 18, 2025
img
ভক্তদের চাপে লন্ডনে বাড়ল আরিয়ানার কনসার্ট Sep 18, 2025
img
আসন্ন দুর্গাপূজার পরিস্থিতি নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মিথ্যা প্রচার করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 18, 2025
img
গানের শিক্ষক থাকবে, ধর্মীয় শিক্ষকও: দীপা খন্দকার Sep 18, 2025
img
বব ডিলানের শুরুর দিনগুলো ফিরছে নতুন বক্সসেটে Sep 18, 2025