প্রধান উপদেষ্টার প্রতি এবার খোলা চিঠি দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক শায়েখ আহমাদুল্লাহ। যেখানে ‘আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বন্ধে আহ্বান জানান তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ সংক্রান্ত খোলা চিঠি দেন তিনি। এসময়, জুলাই গনঅভ্যুত্থানের অধিকাংশ শহীদ ধার্মিক ছিলো বলেও উল্লেখ করেছেন আহমাদুল্লাহ।
চিঠিতে আহমাদুল্লাহ লেখেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আমি বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক ও সাধারণ মুসলিম হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রসুল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছে। এসব ঘটনাকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, দুরভিসন্ধিমূলক, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা বলেই মনে করছেন এই ইসলামিক আলোচক।
স্ট্যাটাসটির এক পর্যায়ে তিনি লেখেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সব সমাজেরই কিছু আদর্শ ও মূল্যবোধ থাকে। তা রক্ষা করা, তাকে সম্মানের চোখে দেখা, তাকে অবজ্ঞা না করাই সামাজিক রীতি। বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত এর উল্টোটাই করে চলেছে। এ কারণে এ দেশে বারবার অস্থিরতা তৈরি হয়। নতুন বাংলাদেশে এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে নিজের প্রত্যাশার কথা জানান আহমাদুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, মানুষ যদি দেখে তাদের আবেগ-অনুভূতিতে নিয়মিত আঘাত করা হচ্ছে, জন-প্রত্যাশাকে পদদলিত করা হচ্ছে, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সরকার তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না—তাহলে তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। দেশের মানুষ যদি সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারায়, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্কও করেছেন তিনি।
পোষ্টের শেষে কটূক্তি ও অবমাননাকর কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানান শায়েখ আহমাদুল্লাহ।