স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের আন্দোলনে আমাদের সংহতি রয়েছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আমরা সিভিল পোস্ট থেকে চেষ্টা করছি আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করতে। জনজীবনে যেন গণ আতঙ্ক না ছড়ায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। গতকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে, সে আন্দোলনে আমাদের সংহতি রয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ ফয়েজিয়া রাজ্জাকিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের মিলাদ ও বিদায় অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দেশে সার্বিকভাবে একটি পট পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে মানুষ ফ্যাসিবাদী শাসনের মধ্য দিয়ে গেছে। সার্বিক বিষয়গুলোতে মানুষ মেন্টালি ট্রমাটাইজড। বিষয়গুলো কি আমরা একনলেজ করছি। একই সাথে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে সেটিকে একনলেজ করছি। সমাজের ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে। গতকাল বনশ্রীতে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অপ্রত্যাশিত। সেটিকে পিলোপাসিং অর্থ্যাৎ দোষ দেওয়ার যে প্রবণতা, রাজনৈতিকভাবে সবগুলো বিষয় দেখা, এ করেছে, ও করেছে, আমি করি নাই। এই জায়গা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে এসে ছিনতাইকারীকে ছিনতাইকারী রূপে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আমাদের আহ্বান থাকবে।

নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি এবং সরকারের বিপরীত অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন যখন আগে হয়ে যায়, আমরা দেখেছি যে জাতীয় সংসদ সদস্য তাদের একটি প্রবণতা থাকে যে স্থানীয় সরকারে একটি প্রভাব বিস্তার করার। তাদের আত্মীয়-স্বজন ভাইকে দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান , ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসব বিষয় একটা আধিপত্য রাখার চেষ্টা করা হয়। আমরা ফ্রি ফেয়ার পার্টিসিপেটারি নির্বাচনের কথা বলছি। সেই জায়গা থেকে আমাদের অতীতের যেই অভিজ্ঞতা রয়েছে তাতে খুব বেশি সুখস্মৃতি নেই। আমরা দেখেছি যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ সদস্য যারা হয় তাদের একটি অপ্রত্যাশিত প্রভাব বলয় থাকে। সেই প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচন দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে কিনা সেটির ফিল্ড পর্যবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হয়ে যাওয়া উচিত।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মেয়ের নতুন ব্যবসায় কাস্টমার সার্ভিস দিলেন বিল গেটস! Jul 26, 2025
img
বিশ্ব দাবার ফাইনালে প্রথম ভারতীয় মহিলা দিব্যা দেশমুখ Jul 26, 2025
img
কোনো নাগরিক অবৈধ উপায়ে ভারত থাকলে গ্রহণে প্রস্তুত বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
যারা পরিবেশকে ধ্বংস করবে, পাবে না বিএনপির মনোনয়ন: আমীর খসরু Jul 26, 2025
img
কঠিন সিদ্ধান্তে ‘চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ’ মেসি Jul 26, 2025
img
রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়: অর্থ উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
কোথাও কোনো সুশাসন-নিয়ন্ত্রণ নেই : মির্জা ফখরুল Jul 26, 2025
যে কারনে মুন্নাভাই ছবিতে শাহরুখের জায়গায় সঞ্জয় দত্তকে বেছে নিতে বাধ্য হন নির্মাতারা? Jul 26, 2025
থ্রি ইডিয়টসের ‘রাজু’র সাথে পর্দা ভাগ করতে যাচ্ছেন তানজিন তিশা, খায়রুল বাসার Jul 26, 2025
আসলে কি আপনি মুমিন? Jul 26, 2025
img
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে নেপালের আদালত কোনো রায় দেয়নি Jul 26, 2025
img
পিচ নিয়ে কড়া সমালোচনার পাল্টা জবাব দিলেন রমিজ রাজা Jul 26, 2025
img
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৪ জনের Jul 26, 2025
img
নিম্নচাপের প্রভাবে স্থবির ভোলা, ১০ নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ Jul 26, 2025
img
ইতালির সড়কে ভেঙে পড়ল বিমান, পাইলটসহ নিহত ২ Jul 26, 2025
img
খুলনায় বোরকা পরে অভিনব কায়দায় ছিনতাই Jul 26, 2025
img
স্ত্রীর সুস্থতা কামনায় দোয়া প্রার্থনা কর্নেল অলির Jul 26, 2025
img
ইরানের আইআরজিসির ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা Jul 26, 2025
img
জাতি এগিয়ে যাচ্ছে , ফেল করলে আমাদের নর্দমায় ফেলে দেবে: প্রেস সচিব Jul 26, 2025
img
এক ফ্রেমে জিৎ-ঋতুপর্ণা, বাড়ছে দর্শক মনে কৌতূহল! Jul 26, 2025